শ্রীপটকে অযত্নে রাখলে সেই কষ্ট তাঁর নিজের অঙ্গে লাগে।
জীবন্ত দেবতাও যা পটও তা।
শ্রীশ্রী রামঠাকুর।
"পটের মধ্যে তিনি থাকেন ---
পটের কাছে একমনে কিছু বললে ঠাকুর যে তা শোনেন অনেক ঘটনায়ও তা বোঝা গেছে।
অলৌকিক কাহিনী বাদ দিয়ে পটকে তিনি কি দৃষ্টিতে দেখতেন তার দু'একটা ঘটনা মনে পড়ছে।
শ্রীঠাকুর ঘরে বসে আছেন। তাঁর সামনেই পূজোর ঘর।
মাঝখানের দরজা খোলা। পূজোর ঘরে শ্রীশ্রীভোলানন্দ গিরি মহারাজের একখানা পট আছে।
পটে গিরি মহারাজের মাথায় চন্দন দিয়ে মুকুট পরানো।
ঠাকুর তক্তপোষের ওপর বসা। পূজোর ঘরে আমি।
ঠাকুর বললেন,
"মা, ভোলানন্দ গিরি মহারাজের মাথায় অতবড় একটা
ভার চাপাইয়া রাখছেন।
চন্দনে আঁকা মুকুট টা ইঙ্গিত করে বললেন ,
মুকুটটা তুইলা নেন।
-- আঁকা মুকুটটা মুছে ফেললাম।
এরপর আর একদিন....
ঠাকুরের গায়ে চন্দন লাগানো তুলসী দেয়া আছে। সকালে দেয়া তুলসী চন্দন। রাত হয়েছে। তুলসী- চন্দন শুকিয়ে গেছে ।
ঠাকুর সেই পটের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলেন ,
"মা , চন্দন মাখা থাকলে চড়্ চড়্ করে।
পটকে অযত্নে রাখলে সেই কষ্ট তাঁর নিজের অঙ্গে লাগে।
জীবন্ত দেবতাও যা পটও তা।
দেবতা সশরীরে সামনে বসে থাকলে যা করি বা করা উচিৎ ,
পটকেও তেমন ভাবে রাখা উচিৎ।
কথা প্রকারান্তরে শ্রীঠাকুর বুঝিয়ে দিলেন।
জয়রাম
কিরণ বালা মজুমদার ।
" ঘরের ঠাকুর শ্রীরামচন্দ্র"
কিরণ বালা মজুমদার ।
পৃষ্ঠা সংখ্যা ৫৯ হইতে ।
শ্রীপটকে অযত্নে রাখলে সেই কষ্ট তাঁর নিজের অঙ্গে লাগে।
Reviewed by srisriramthakurfbpage
on
November 25, 2023
Rating:
No comments: