খাটের নীচে রক্ষিত ফলের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে ঠাকুরমহাশয় বললেন, "বড় গরম,বড় গরম,সে জন্যই ঐ ফল খাওয়া যায় না। " জয় রাম জয় গোবিন্দ
ঠাকুরমহাশয় অতি তৃষ্ণার্ত জেনে তারানাথবাবু একটি ডাব কেটে দিলেন। ঠাকুরমহাশয় নিঃশেষে সে ডাবের জল পান করলেন। তা দেখে তারানাথবাবু বিস্ময়বোধ করলেন। এতটা জল একসাথে পান করতে ইতিপূর্বে ঠাকুরমহাশয়কে আর কখনও তিনি দেখেননি। সেজন্য তিনি জিজ্ঞাসা করলেন আর একটি ডাব কেটে দিবেন কিনা। মাথা নেড়ে ঠাকুরমহাশয় সম্মতি দিলেন। আর একটি ডাবও তারানাথবাবু কাটলেন। প্রায় দু'ই গ্লাস জল হয়েছিল সেই ডাবটিতে।এই ডাবটির সবটুকু জলও ঠাকুরমহাশয় পান করলেন। ঠাকুরমহাশয় যে অত্যন্ত পিপাসা বোধ করছিলেন তা বুঝতে তারানাথবাবুর আর বিলম্ব হল না।
গামছায় মুখ মুছে ঠাকুরমহাশয় বললেন।পরের দিন সকালবেলা তিনি ঢাকায় যাবেন। তারানাথবাবু যেন আরও দু'টা ডাব তাদের বাড়ির গাছ থেকে এখনি কেটে এনে রাখেন।তারানাথবাবু বললেন, আপনি তো কাল সকালে ঢাকায় যাচ্ছেন,বাড়ি গিয়ে ডাব কেটে আনতে আনতে সন্ধ্যা তো প্রায় হয়ে আসবে। আপনি ডাব খাবেন কখন? উত্তরে ঠাকুরমহাশয় জানালেন যে তিনি আর দু'টা ডাব নিয়ে আসুন; ঐ দু'টো ডাবের জল ঠাকুরমহাশয় জাহাজে বসে পান করবেন।
সায়াহ্নের কিছু পূর্বে তারানাথবাবু আরও দু'টি ডাব কেটে নিয়ে এসে উপস্থিত হলেন। ঠাকুরমহাশয় তাকে ডাব দু'টি খাটের নীচে রাখতে বললেন। ডাব দু'টি খাটের তলায় রাখতে গিয়ে তারানাথবাবু দেখলেন রাশিকৃত ফলও খাটের নীচে রয়েছে এবং কচি ডাবও রয়েছে বিস্তর। যে গৃহে ঠাকুরমহাশয় এসেছিলেন, সেই গৃহস্বামী ছিলেন বিত্তস্বামী।ঠাকুরমহাশয়ের আগমনের সংবাদ পেয়ে ফল ও ডাব তিনি পূর্বেই সংগ্রহ করে রেখেছিলেন। এত ডাব থাকতে ঠাকুরমহাশয় কেন তাকে দু দু'বার তাদের বাড়ির গাছ থেকে ডাব কেটে আনতে আদেশ করেছিলেন। আর তিনি কোন দিনও তারানাথবাবুর গৃহে যাননি। তিনি বা কেমন করে জানলেন যে তাদের বাড়িতে ফলন্ত একটি নারিকেল গাছ আছে।সেজন্য তারানাথবাবু বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করলেন, "আপনি তো কোনদিনও আমাদের বাড়িতে পায়ের ধূলা দেননি, কী করে জানলেন যে আমাদের বাড়িতে একটি নারিকেল গাছ আছে? ঠাকুরমহাশয় সে প্রশ্নের কোন উত্তর দিলেন না। একটি ক্ষিপ্ত হয়ে তারানাথবাবু পুনরায় প্রশ্ন করলেন, "খাটের নীচে এত কচি ডাব থাকতে আমাকে দিয়ে কেন দু'বার ডাব আনালেন? " খাটের নীচে রক্ষিত ফলের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে ঠাকুরমহাশয় বললেন, "বড় গরম,বড় গরম,সে জন্যই ঐ ফল খাওয়া যায় না। "
জয় রাম জয় গোবিন্দ
খাটের নীচে রক্ষিত ফলের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে ঠাকুরমহাশয় বললেন, "বড় গরম,বড় গরম,সে জন্যই ঐ ফল খাওয়া যায় না। " জয় রাম জয় গোবিন্দ
Reviewed by srisriramthakurfbpage
on
March 08, 2024
Rating:
No comments: