ভগবান যাহা বিধান করেন মঙ্গলের কারণ,যেহেতু ভগবান মঙ্গলময়। তাঁহার সেবা করিলে কোন অভাব ঘটে না। 🍁🌷শ্রী শ্রী রামঠাকুর🍁🌷
ভগবান যাহা বিধান করেন মঙ্গলের কারণ,যেহেতু ভগবান মঙ্গলময়। তাঁহার সেবা করিলে কোন অভাব ঘটে না।
শ্রী শ্রী রামঠাকুর
ঠাকুর ভোগঃ
আপনি বাজে চিন্তার আবর্ত্তন হইতে ধৈর্য্য ধরিয়া সত্যনারায়ণের নাম সর্ব্বদা করিবেন।এইরুপ অভ্যাস করিতে করিতে স্থির চিন্তা আসিয়া আপনাকে পরম শান্তি দিবেন।ভগবান একমাত্র ধৈর্য্য হইতেই প্রকাশ হন।ধৈর্য্যই ধর্ম্ম,ধৈর্য্যই ভগবান,দ্বন্দ্বে স্থির থাকাই আনন্দ।অধৈর্য্য হইলে লাভ দ্বারা যে সকল সুখ পাওয়া যায় তাহা ক্ষণস্থায়ী মাত্র,উদয় এবং অস্তশীল বলিয়া জানিবেন।প্রারব্ধ (ভাগ্যই) সেই সমস্ত বিষয় ভেদজ্ঞানের আবরণে টানিয়া নিয়া যায়,অতএব সর্ব্বদা প্রারব্ধ বেগ সহিষ্ণুতার দ্বারা পবিত্র করিয়া পবিত্র হইতে চেষ্টা করিবেন।এই প্রকার মনের,বুদ্ধির শরীরের বেগ সহ্য করিতে করিতে মন,বুদ্ধি,শরীর ভেদ (দ্বৈত) ভাবের তরঙ্গ হইতে মুক্তি হইয়া পরিমাণ [?] শক্তি জাগিয়া পড়িবে সংশয় নাই।এই সংসার মায়ামুগ্ধ হওয়ায় কিংকর্ত্তব্যহারা হইয়া ভ্রান্তি বিষয় অমূলক চিন্তায় নিমগ্ন হইয়া,হিতাহিত জ্ঞান বর্জ্জিত হইয়া কার্য্য-কলাপে নানান উপসর্গ সৃষ্টি করিয়া থাকে।ইহা হইতে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় এই ধৈর্য্য হইতে অভ্যাস করা।ইহা ব্যতীত অন্য কোন উপায় নাই।
ঠাকুর ভোগঃ
এক বৃদ্ধলোক ঠাকুরের সহিত দেখা করিতে আসিতে বড়বাজার হইতে অতি উৎকৃষ্ট কয়েকটি ফজলি আম আনাইয়াছিলেন। প্রথমে তিনি প্রতাপবাবুকে তিনটি আম তুলিয়া রাখিতে বলিয়াছিলেন। একটু পরে আবার বলিলেন যে, তিনটির প্রয়োজন নাই, দুইটি রাখিলেই চলিবে। এই বলিয়া ঘর হইতে বাহির হইয়া গেলেন কিন্তু একটু পরেই আবার ফিরিয়া আসিয়া বলিলেনঃ "উনি তো কিছুই খান না শুনিয়াছি, দুইটির দরকার নাই, একটাতেই হইবে।" এই কথা শুনিয়া আমি প্রতাপবাবুকে বলিলামঃ এই আম ঠাকুরের ভোগে লাগিবে না।" তিনি একটু জিজ্ঞাসু নেত্রে আমার দিকে চাহিলেন। আমি তাহাকে জানাইলাম যে, আম কাটিয়া দিতে আমি নিষেধ করিতেছি না, কিন্তু আমার বিশ্বাস যে ঠাকুর ইহা গ্রহণ করিবেন না। ইহার কিছুক্ষণ পরে ঘি, চিনি ও কলা এবং কয়েকটি বিভিন্ন ফলের টুকরা ঠাকুরকে দেওয়া হইল। ঐ আমটিও প্রতাপবাবু সযত্নে কাটিয়া থালায় সাজাইয়া দিলেন। ঠাকুর ঘি, চিনি ও কলা
একত্রে মাখিয়া গ্রহণ করিলেন এবং ফলও সামান্য কিছু খাইলেন। পরিশেষে ঐ আমের একটি টুকরা মুখে দিয়া বলিলেন যে, আমটা তেতো এবং টুকরাটি থালার পাশে রাখিয়া দিলেন। আমরা সকলেই সেই আম প্রসাদ পাইয়াছিলাম; অতি উৎকৃষ্ট গাছপাকা ফজলী, মিছরির মতো মিষ্টি কিন্তু ঠাকুর বলিলেন যে, আমটা তেতো। এই জাতীয় ঘটনা আমি জীবনে আরও অনেকবার প্রত্যক্ষ করিয়াছি এবং আমার বদ্ধমূল হইয়াছে যে, ঠাকুরের খাওয়া সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করিত যে খাওয়াইত তাহার মন ও নিষ্ঠার উপর।
রাম ঠাকুরের কথা
ডঃ ইন্দুভূষণ বন্ধোপাধ্যায়
.......................................................................................................................................
আর একদিন বিকাল বেলা বেড়াইতে বাহির হইলে তৎকালীন জিলা স্কুলের ড্রিল মাষ্টার চির-কুমার রসিক বাবুর সাথে দেখা হইল।তিনি মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর শিষ্য ছিলেন এবং নানা কারণেই তাঁহার প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা ছিল।আমি কথাপ্রসঙ্গে তাঁহাকে বলিলাম যে, শ্রীশ্রীঠাকুর আমাকে অতি সংক্ষিপ্ত একটি কথা নিস্তব্ধ সময়ে উচ্চারণ করিতে বলিয়া গিয়াছিলেন।কিন্তু আমার খুব বেশি সময় ঘুম হয় বলিয়া দুর্ভাগ্যবশতঃ তাহা কিছুই করিতে পারি নাই। কেবল অবসর সময়ে অথবা যখন বেড়াইতে বাহির হই,তখন তাঁহার মূর্ত্তি এবং ঐ কথা মাঝে মাঝে স্মরণ হয়।রসিকবাবু আমাকে আশ্বাস দিয়া বলিলেন, "উহাতেই আপনার কাজ হয় এবং ইহাই আপনার পক্ষে নিস্তব্ধ সময়।"
আমি ঐ কথাই বস্তুতঃই যথেষ্ট শান্তি পাইলাম।
জয় রাম জয় গোবিন্দ
শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্রদেব স্মরণে
—শ্রীচরণ-সম্বল শ্রীশুভময় দত্ত, এম.এ., বি.এল.
অবসরপ্রাপ্ত সরকারী উকিল ও এডভোকেট (নোয়াখালী
.............................................................................................................................
................................................................................................................................................................................................
আপনি বাজে চিন্তার আবর্ত্তন হইতে ধৈর্য্য ধরিয়া সত্যনারায়ণের নাম সর্ব্বদা করিবেন। এইরুপ অভ্যাস করিতে করিতে স্থির চিন্তা আসিয়া আপনাকে পরম শান্তি দিবেন। ভগবান একমাত্র ধৈর্য্য হইতেই প্রকাশ হন। ধৈর্য্যই ধর্ম্ম, ধৈর্য্যই ভগবান, দ্বন্দ্বে স্থির থাকাই আনন্দ। অধৈর্য হইলে লাভ দ্বারা যে সকল সুখ পাওয়া যায় তাহা ক্ষণস্থায়ী মাত্র, উদয় এবং অস্তশীল বলিয়া জানিবেন। প্রারব্ধ (ভাগ্যই) সেই সমস্ত বিষয় ভেদজ্ঞানের আবরণে টানিয়া নিয়া যায়, অতএব সর্ব্বদা প্রারব্ধ বেগ সহিষ্ণুতার দ্বারা পবিত্র করিয়া পবিত্র হইতে চেষ্টা করিবেন। এই প্রকার মনের, বুদ্ধির শরীরের বেগ সহ্য করিতে করিতে মন, বুদ্ধি, শরীর ভেদ (দ্বৈত) ভাবের তরঙ্গ হইতে মুক্তি হইয়া পরিমাণ [?] শক্তি জাগিয়া পড়িবে সংশয় নাই। এই সংসার মায়ামুগ্ধ হওয়ায় কিংকর্ত্তব্যহারা হইয়া ভ্রান্তি বিষয় অমূলক চিন্তায় নিমগ্ন হইয়া, হিতাহিত জ্ঞান বর্জ্জিত হইয়া কার্য্য-কলাপে নানান উপসর্গ সৃষ্টি করিয়া থাকে। ইহা হইতে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় এই ধৈর্য্য হইতে অভ্যাস করা। ইহা ব্যতীত অন্য কোন উপায় নাই।
- শ্রীশ্রী রামঠাকুর
বেদবানী ৩য় খন্ড(১০৭)
..............................................................................................................................
............................................................................................................................
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
ভগবান যাহা বিধান করেন মঙ্গলের কারণ,যেহেতু ভগবান মঙ্গলময়। তাঁহার সেবা করিলে কোন অভাব ঘটে না। 🍁🌷শ্রী শ্রী রামঠাকুর🍁🌷
Reviewed by srisriramthakurfbpage
on
December 03, 2023
Rating:
No comments: