শ্রী শ্রী রামঠাকুর ও অক্ষয়তৃতীয়ার মাহিত্য।
প্রণাম গুরুদেব শ্রী শ্রী রামঠাকুর
শ্রী শ্রী রাম ঠাকুরের স্ব হস্ত লিখিত পত্রাংশ বেদবানী-তৃতীয় খন্ড-৩
শ্রী শ্রী রাম ঠাকুরের লীলা মাধুরী। বেদবানী তৃতীয় খন্ড ৫৪ নং পত্রাংশ দেহ আবরণে পড়িলেই দেহীর জীব আখ্যা হয়।দেহ সকল প্রকৃতির গুণ হইতে উৎপন্ন হইয়া থাকে এবং গুণ সকলের তারতম্য বশত: কামনা, বাসনা, ইচ্ছা প্রভৃতির ক্ষেত্রে বিকার জন্মিয়া থাকে, তাহা হইতমন বুদ্ধি, প্রাণ, অহংকার এবং অভিমান দ্বারা জীব সকল বদ্ধ হয়।ইহা হইতেই সুখী দুঃখী প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্ততার জন্ম হয়।ঈশ্বর কোন কিছু করেন না,কারণ ঈশ্বর নির্লিপ্ত। তাহাকেই জ্ঞানীগণ স্বভাব বলিয়া থাকে। তার কোনো অভাব নাই, কাজেই সৃষ্টি করেন না।প্রকৃতির গুণ হইতেই সত্বগুণের দ্বারা সুখী,রজ গুণের দ্বারা দুঃখী, তম গুণের কার্য্য হয় কেবল শোক সন্তাপ। এই সকল গুণের তারতম্য হেতু বাসনাদি উৎপন্ন হয়। "কাম এষ ক্রোধ এষ রজোগুণসমুদ্ভবঃ মহাশনো মহাপাপ্না বিদ্ধ্যেনমিহ বৈরিণম" ভগবানের বাক্য গীতায় প্রকট আছে। এইসকল কর্মের দ্বারা ভগবানকে জানা যায় না।ভগবানের সঙ্গে সম্বন্ধ জীবের সরূপ ( অথাৎ আনন্দময়) সেই আনন্দ পাইতে বাদক,ঐ সকল গুণের বিকৃতিমাত্র।প্রলোভনে পড়িয়া কর্ওা হইয়া গুণের তারতম্য শাসনে নিযুক্ত থাকিলেই সরূপ ভুলিয়া গিয়া মায়া ভ্রান্তির দাস হইয়া ঘুরিতে থাকে। এই জন্যই অহং অহংকার দ্বারা বুদ্ধিশ্রম হইয়া সুখের লালসায় অপার অগাধ সাগরে পড়িয়া থাকে, কৃষ্ণ স্মৃতি (?) হয় না।স্মৃতিভ্রংশ ঘটিয়া পড়ে,এই জন্যই ভগবানকে জানিতে পারে না। " অহংকার বিমূঢ়াত্না কর্তৃত্বাভিমানে সুখ দুঃখজনক দেহীর নিকট উপস্থিত হয় (সেই) সকল বেগ সহ্য করিতে করিতে দেহের সঙ্গে সঙ্গে গুণের প্রারব্দ দন্ডমুক্ত হইয়া ভগবানের সম্বন্ধতা লাভ করিয়া থাকে। জীব সকল নিত্য ভগবানের দাস,গুণের বিকৃতি বাসনায় পড়িয়া কর্তা হইয়া নানান উপাধি হইয়া এই সংসারে ঘুরিয়া বেড়ায়,রজ গুণ হইতে যাহা উৎপন্ন হয় তাহাই কামনা বলে,বাসনা বা (ইচ্ছা) বলে।এই কামনাদির দ্বারা আহত হইলেই রাগ,দ্বেষ, হিংসা, প্রকাশ হইয়া পড়ে,হইার দ্বারা সর্ব্বদায় ইহাদের বেগ ধৈর্য্য ধরিতে ধরিতে ভগবৎ বোধ হয়। হ্রাস হয় না। কেবল নাম করিবেন। প্রাক্তনের কর্ম সকলই দেহের সঙ্গে সঙ্গে তরঙ্গে পড়িয়া থাকিবে।নিত্যধাম অবিচ্ছিন্ন রূপে লাভ করিতে পারিবেন। সন্দেহ নাই। দেহের বন্ধনের শক্তিতে শক্তিহীন জন দেহত্যাগে পূর্ণ শক্তিমান হন।দেহেরই মৃত্যু, কিন্তু দেহী জন্মেন না,মরেন না।তিনি সর্বদাই থাকেন।
বেদবানী তৃতীয় খন্ড ৫৩ নং পত্রাংশ সংসারের তাড়নায় এই ত্রিজগতের মধ্যে এক ভগবানই নিষ্কৃতি লাভ আছেন।,এতদ্ভিন্ন(?) দেব,দানব,গন্ধর্ব্ব,সিদ্ধচারণাদি পর্যন্ত এই সংসারে মায়ার নাটে পড়িয়া প্রারব্ধ ভোগ করিয়া যাইতেছেন।মানবের তো কোনো কথায় নাই। এই ভগবানের যে মায়া তাহাট হাত হইতে ত্রাণের জন্য একমাত্র সত্যনারায়ন আছেন। তিনি প্রতি ঘরে ঘরে নামরূপে বিরাজ করিয়া থাকেন।এই জন্যই কৃতজ্ঞশীল মহাত্মাগন শাস্ত্ররূপে জীবের মুক্তির জন্য নাম বিতরণ করিয়া রাখিয়াছেন।সেই নামের শরণ নিয়া পড়িয়া থাকিলে এই কন্টকময় প্রারব্ধ দণ্ডভোগ মুক্ত হইয়া নিত্যধামে পরানন্দে ডুবিয়া সত্যসরূপ পতিদেবতার অপার শক্তি ক্ষয় হইয়া যায়। তখন সকল শান্তি পাইতে পারে।
বেদবাণী তৃতীয় খন্ড ৫২ নং পত্রাংশ নাম করিতে কোনরূপ ধারণ বজায় করবার বিধান নাই। " নাম চিন্তামনিঃ কৃষ্ণশ্চৈতন্য রসবিগ্রহঃ"। কর্ত্তৃত্বাভিমান নিয়া তাঁর সেবা করিতে পারে না। অতএব নামের অধীন থাকিবার চেষ্টা করাই নামের কাছে থাকা। মনের দ্বারা সুখ দুঃখ শান্তি অশান্তি উপলব্ধি হইয়া থাকে। নাম করিতে মনের কোন সাহায্য লাগে না, ইহা প্রাণের দ্বারা সম্পাদন হয় জানিবেন। অতএব নামই সত্য, তাকে ভুলিয়া গিয়া মনে ভ্রান্তি আকারে পরিভ্রমণ করিয়া জীব ত্রিবিদ, নানান ভাবে সঙ্কর জ্বালা ভোগে পড়িয়া যায়। সর্ব্বদাই নামের অধীন হইতে চেষ্টা করুন, নামে উদ্ধার করিয়া নিয়া যাইবে। নামের কোন ফলাফল নাই।
বেদবাণী তৃতীয় খন্ড ৫১ নং পত্রাংশ সংসার স্বার্থবশে ঘুরিতেছে আপনার দোষ কি ? পরের দেহে ভগবানকে দোষারোপে আরোগহনার গুড় প করিয়া নিজ অস্থায়ী [?] স্বভাবের তাড়নায় বিবৃত থাকে। ইহা আপনার দোষ নয়, স্বভাবেরই বলিতে হয়। ইহাই ভগবানের মায়া জানিবেন। আসুরিক ভাবের প্রাদুর্ভাবে আপনাকে বর্তমান করিয়া আত্ম সুখ পথ অন্বেষণ করিয়া থাকে, প্রবৃত্তির নিকট শক্তি ধরিতে পারেনা। যাহার যে ভাগ্য তাহার ব্যতিক্রমের অধিকার জগতে কারই নাই। (ভাগ্যং ফলতি সর্ব্বত্র) মরাকে মারিতে কষ্ট [?] সংগ্রহ হয় না, জ্যান্তকে বুঝাইতে অনেক হাবিডুবী খেলতে হয়।
বেদবাণী তৃতীয় খন্ড ৫০ নং পত্রাংশবেদবাণী তৃতীয় খন্ড ৫০ নং পত্রাংশ গীতা খানা টিকা অম্বয় না দেখিয়া ধৈর্য্যভাবে পাঠ করিবেন । তাহাতে অনেক ... . . . . . . বক্তব্য বিষয়কে জানাইয়া দিবে। ঐ গীতাটি ভগবানের হৃদয়, সন্দেহ নাই। এই শরীরে ভগবান আছেন তাহাকে জানিয়া লইতে পারিবেন।তার নিকট সকল চেষ্টা রাখিতে পারিলেই সকল সংসার মুক্ত হয়।
বেদবানী তৃতীয় খন্ড ৫৩ নং পত্রাংশ
সংসারের তাড়নায় এই ত্রিজগতের মধ্যে এক ভগবানই নিষ্কৃতি লাভ আছেন।,এতদ্ভিন্ন(?) দেব,দানব,গন্ধর্ব্ব,সিদ্ধচারণাদি পর্যন্ত এই সংসারে মায়ার নাটে পড়িয়া প্রারব্ধ ভোগ করিয়া যাইতেছেন।মানবের তো কোনো কথায় নাই। এই ভগবানের যে মায়া তাহাট হাত হইতে ত্রাণের জন্য একমাত্র সত্যনারায়ন আছেন। তিনি প্রতি ঘরে ঘরে নামরূপে বিরাজ করিয়া থাকেন।এই জন্যই কৃতজ্ঞশীল মহাত্মাগন শাস্ত্ররূপে জীবের মুক্তির জন্য নাম বিতরণ করিয়া রাখিয়াছেন।সেই নামের শরণ নিয়া পড়িয়া থাকিলে এই কন্টকময় প্রারব্ধ দণ্ডভোগ মুক্ত হইয়া নিত্যধামে পরানন্দে ডুবিয়া সত্যসরূপ পতিদেবতার অপার শক্তি ক্ষয় হইয়া যায়। তখন সকল শান্তি পাইতে পারে।
বেদবাণী তৃতীয় খন্ড ৫২ নং পত্রাংশ
নাম করিতে কোনরূপ ধারণ বজায় করবার বিধান নাই। " নাম চিন্তামনিঃ কৃষ্ণশ্চৈতন্য রসবিগ্রহঃ"। কর্ত্তৃত্বাভিমান নিয়া তাঁর সেবা করিতে পারে না। অতএব নামের অধীন থাকিবার চেষ্টা করাই নামের কাছে থাকা। মনের দ্বারা সুখ দুঃখ শান্তি অশান্তি উপলব্ধি হইয়া থাকে। নাম করিতে মনের কোন সাহায্য লাগে না, ইহা প্রাণের দ্বারা সম্পাদন হয় জানিবেন। অতএব নামই সত্য, তাকে ভুলিয়া গিয়া মনে ভ্রান্তি আকারে পরিভ্রমণ করিয়া জীব ত্রিবিদ, নানান ভাবে সঙ্কর জ্বালা ভোগে পড়িয়া যায়। সর্ব্বদাই নামের অধীন হইতে চেষ্টা করুন, নামে উদ্ধার করিয়া নিয়া যাইবে। নামের কোন ফলাফল নাই।
বেদবাণী তৃতীয় খন্ড ৫১ নং পত্রাংশ
সংসার স্বার্থবশে ঘুরিতেছে আপনার দোষ কি ? পরের দেহে ভগবানকে দোষারোপে আরোগহনার গুড় প করিয়া নিজ অস্থায়ী [?] স্বভাবের তাড়নায় বিবৃত থাকে। ইহা আপনার দোষ নয়, স্বভাবেরই বলিতে হয়। ইহাই ভগবানের মায়া জানিবেন। আসুরিক ভাবের প্রাদুর্ভাবে আপনাকে বর্তমান করিয়া আত্ম সুখ পথ অন্বেষণ করিয়া থাকে, প্রবৃত্তির নিকট শক্তি ধরিতে পারেনা। যাহার যে ভাগ্য তাহার ব্যতিক্রমের অধিকার জগতে কারই নাই। (ভাগ্যং ফলতি সর্ব্বত্র) মরাকে মারিতে কষ্ট [?] সংগ্রহ হয় না, জ্যান্তকে বুঝাইতে অনেক হাবিডুবী খেলতে হয়।
বেদবাণী তৃতীয় খন্ড ৫০ নং পত্রাংশবেদবাণী তৃতীয় খন্ড ৫০ নং পত্রাংশ
গীতা খানা টিকা অম্বয় না দেখিয়া ধৈর্য্যভাবে পাঠ করিবেন । তাহাতে অনেক ... . . . . . . বক্তব্য বিষয়কে জানাইয়া দিবে। ঐ গীতাটি ভগবানের হৃদয়, সন্দেহ নাই। এই শরীরে ভগবান আছেন তাহাকে জানিয়া লইতে পারিবেন।তার নিকট সকল চেষ্টা রাখিতে পারিলেই সকল সংসার মুক্ত হয়।
বেদবাণী তৃতীয় খন্ড
Reviewed by srisriramthakurfbpage
on
June 11, 2024
Rating:
No comments: