ওঁম নমো শ্রী রামচন্দ্রায় নিত্যানন্দ স্বরুপিনে কলি কল্মনাশায় প্রেমামৃত প্রবর্তিনে শান্তায় শান্তরুপায় নির্গুনায় গুনাত্বিনে দয়াপ্রবন চিন্তায় স্থির প্রগ্যায় বই নমোঃ
ওঁম নমো শ্রী রামচন্দ্রায় নিত্যানন্দ স্বরুপিনে
কলি কল্মনাশায় প্রেমামৃত প্রবর্তিনে
শান্তায় শান্তরুপায় নির্গুনায় গুনাত্বিনে
দয়াপ্রবন চিন্তায় স্থির প্রগ্যায় বই নমোঃ
ওঁম নমো শ্রী রামচন্দ্রায় নিত্যানন্দ স্বরুপিনে' মন্ত্রটি শ্রী রামচন্দ্রের প্রশংসা করে উচ্চারিত এক ধরনের প্রার্থনা, যা ভক্তরা তাঁকে সম্মান জানাতে এবং তাঁর গুণাবলী স্মরণ করতে ব্যবহার করে।
এটি বিভক্ত করে ব্যাখ্যা করলে তা আরও স্পষ্ট হবে:
বেদবানী প্রথম খন্ড -(৮৯)নং পত্রাংশ ,শ্রী শ্রী রামঠাকুর।
ওঁম নমো শ্রী রামচন্দ্রায় নিত্যানন্দ স্বরূপিনে
এখানে "ওঁম নমো" দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে এবং "শ্রী রামচন্দ্রায় নিত্যানন্দ স্বরূপিনে" বলছে যে শ্রী রামচন্দ্র হলেন চিরস্থায়ী আনন্দের মূর্তি।কলি কল্মনাশায় প্রেমামৃত প্রবর্তিনে
"কলি" মানে হলো কলিযুগ এবং "কল্মনাশায়" বোঝায় পাপ ধ্বংসকারী। শ্রী রামচন্দ্র কলিযুগের সকল পাপ ধ্বংস করেন এবং "প্রেমামৃত প্রবর্তিনে" দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে তিনি প্রেমের অমৃত প্রবাহিত করেন।শান্তায় শান্তরূপায় নির্গুণায় গুনাত্বিনে
"শান্তায় শান্তরূপায়" দ্বারা বোঝায় যে তিনি পরম শান্তি এবং শান্তিরই মূর্তিমান রূপ। "নির্গুণায় গুনাত্বিনে" মানে তিনি নির্গুণ (কোনও গুণ বা রূপের অধিকারী নন) আবার তিনিই সব গুণের মূর্তিমান।দয়াপ্রবন চিন্তায় স্থির প্রগ্যায় বই নমোঃ
এখানে বোঝানো হয়েছে যে তিনি দয়াশীল, চিন্তাশীল এবং স্থির মনের অধিকারী। "বই নমোঃ" দ্বারা তাঁকে প্রণাম জানানো হয়েছে।
এই মন্ত্রটি ভক্তদের শ্রী রামচন্দ্রের গুণাবলী স্মরণ করিয়ে দেয় এবং তাঁকে প্রার্থনা জানানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
বেদবানী প্রথম খন্ড - (৯২) নং পত্রাংশ ,শ্রী শ্রী রামঠাকুর।
মনের সুখদুঃখ দুইই বন্ধন, হিতাহিত শক্তি আবৃত থাকে। মনের নাশে ইন্দ্রিয় সুখের ভোগ হইতে অনন্ত সুখের উদয় করে, কস্মিনকালেও তাঁহার পরিবর্ত্তন হয় না। অতএব অতীন্দ্রিয় সুখের জন্য মনের(ইন্দ্রিয়ের) সুখ দুঃখ বেগ সহ্য করিতে চেষ্টা সর্ব্বদা করিতে ভুলিবেন না। ভালমন্দ, সুখ দুঃখ, শান্তিঅশান্তি কেবল ভ্রান্তি মনেরই গোচর। সকল ভার গুরুর উপর ন্যস্ত করিয়া হর্ষ, মর্ষ, পাপ তাপ, সংশয়াদি ক্রিয়া দ্বারা যথোৎপত্তি ভোগ সহ্য করিয়া সংসারের কার্য্য নিরপেক্ষ ভাবে সম্পাদন করিতে থাকিবেন, গুরুই সকল অভাব তরঙ্গ হইতে উদ্ধার করিবেন।
ব্যাখ্যা:
এই পত্রাংশে শ্রী শ্রী রামঠাকুর মনের প্রকৃতি এবং আত্মার প্রকৃত সুখের বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন। এখানে তিনি বলেছেন, আমাদের মন যখন সুখ বা দুঃখ অনুভব করে, তখন তা আসলে বন্ধনের সৃষ্টি করে এবং আমাদের সত্যিকারের মঙ্গল লাভের ক্ষমতাকে আচ্ছন্ন করে রাখে। মনের নাশ (অর্থাৎ মনের উপর নিয়ন্ত্রণ বা ইন্দ্রিয়ের তৃষ্ণার অবসান) করতে পারলে আমরা ইন্দ্রিয় সুখের ভোগ থেকে মুক্ত হয়ে এক অনন্ত সুখে পৌঁছাতে পারি, যা কখনও পরিবর্তিত হয় না।
তিনি আরও বলেছেন যে, যদি আমরা আত্মিক (অতীন্দ্রিয়) সুখ পেতে চাই, তবে আমাদের ইন্দ্রিয়ের সুখ-দুঃখের বেগ বা প্রতিক্রিয়া সহ্য করার চেষ্টা করতে হবে। মনের সুখ-দুঃখ, ভাল-মন্দ, শান্তি-অশান্তি সবই আসলে মনের বিভ্রম মাত্র। তাই সমস্ত চিন্তা, দ্বন্দ্ব এবং সন্দেহগুলো গুরুর উপর ন্যস্ত করে আমাদের সংসার জীবনের কাজগুলি একটি নিরপেক্ষ এবং নিরাসক্ত অবস্থায় সম্পাদন করা উচিত। গুরুই আমাদের সকল সংকট থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম।
Explanation in English:
In this passage, Sri Sri Ramthakur explains the nature of the mind and the true happiness of the soul. He states that both the pleasure and pain we feel through our mind bind us and obscure our ability to perceive true welfare. If we can eliminate the dominance of the mind (meaning overcoming the desires of the senses), we can transcend sensory pleasures and reach a state of eternal happiness that remains unchanging.
He further says that if we seek transcendental (spiritual) happiness, we must endure the impulses of sensory happiness and sorrow. The feelings of joy, sorrow, peace, and disturbance are simply illusions perceived by the mind. By entrusting all our burdens, worries, and doubts to the Guru, we should perform our worldly duties with a sense of detachment and impartiality. The Guru is capable of rescuing us from all troubles and challenges

No comments: