ঠাকুর মশাইয়ের স্পর্শে দৃষ্টিহীন বৃদ্ধ ব্যক্তি চক্ষুষ্মান হয়ে উঠলেন ।
হরে কৃষ্ণ
হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ
হরে হরে



হরে রাম
হরে রাম
রাম রাম
হরে হরে
সুপ্রভাত





কৈবল্যধামের দ্বিতীয় মোহন্ত শ্রীমৎ শ্যামাচরণ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের এক নিকট আত্মীয় কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০ বৎ্সরের অধিক দৃষ্টিহীন । কিন্তু তার অন্তরস্থিত একটা বেদনা , পুত্রদের প্রচেষ্টায় নবনির্মিত বাড়িটি তিনি স্বচক্ষে দেখতে পারলেন না । শ্যামাচরণ বাবুর মুখে শুনেছেন , শ্রীশ্রী ঠাকুরের অসীম ক্ষমতা । ঠাকুর যদি একটু করুণা করেন ,তবে অসম্ভবও সম্ভব হইতে পারে ।
শ্যামাচরণ বাবু তার আত্মীয়ের কাতর অনুরোধ শ্রী ঠাকুরকে নিবেদন করলেন । শ্রী ঠাকুরও শুনেছেন এই অনুরোধ কয়েক বছর ধরে , কিন্তু শ্রীঠাকুর উত্তর কোনদিনও দেন নাই ।
একদিন অপরাহ্নে দৃষ্টিহীন বৃদ্ধটি বারান্দায় একটি চেয়ারে বসে তামাক সেবন করছিলেন । এমন সময় তার মনে হইল , কে যেন তার কাছে দাঁড়িয়ে আছেন এবং বলছেন , শ্যাম আমাকে আপনার সাথে দেখা করতে বলেছেন । শ্যাম তার আত্মীয় । দৃষ্টিহীন বৃদ্ধটি ভাবলেন , আগন্তুকের পরিচয় কি ? আগন্তুকটি পরিচয় দিলেন , কার্তিকপুরের ডিঙ্গামানিক গ্রামের শ্রী রামচন্দ্র চক্রবর্ত্তী আমার নাম । দৃষ্টিহীন বৃদ্ধটি চমকে উঠলেন , এই সেই রাম সাধু ! ততক্ষণে ঠাকুরমশাই বৃদ্ধটির হাত ধরে বললেন , আসেন , আপনের বাড়িখানা একবার ঘুইরা দেখি ।
ঠাকুর মশাইয়ের স্পর্শে দৃষ্টিহীন বৃদ্ধটি চক্ষুষ্মান হয়ে উঠলেন , দেখলেন সামনে দাঁড়িয়ে আছেন শ্রীঠাকুর । বৃদ্ধটি হাঁক ডাক করে বাড়ির সকলকে ডাকলেন । সকলেই পরমানন্দে অভিভূত হইলেন এই অসম্ভব ।
শ্রীঠাকুর বৃদ্ধটির হাত ধরে সারা বাড়ি ঘুরলেন । তার আর কি ইচ্ছা তাও জানতে চাইলেন শ্রীঠাকুর । কিন্তু বৃদ্ধটির পরিতৃপ্তি ঘটেছে এবং জানালেন তার আর কোন বাসনা নেই । বাড়ির সকালের অনুরোধে এবার শ্রীঠাকুর বসলেন । বেশ কিছুক্ষণ সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর শ্রীঠাকুর উঠে দাঁড়িয়ে বললেন , এবার আমি আসি গিয়া । শ্যামেরে কইবেন । " জয়রাম "
" মহাজীবনের কাহানী " পৃষ্টা সংখ্যা ৯২ হইতে ।
No comments:
Post a Comment