Sunday, 30 March 2025

 

ঠাকুর মশাইয়ের স্পর্শে দৃষ্টিহীন বৃদ্ধ ব্যক্তি চক্ষুষ্মান হয়ে উঠলেন ।
হরে কৃষ্ণ 🌼 হরে কৃষ্ণ 🌼 কৃষ্ণ কৃষ্ণ 🌼 হরে হরে
হরে রাম 🌼 হরে রাম 🌼 রাম রাম 🌼 হরে হরে 🌼 সুপ্রভাত 🌼
কৈবল্যধামের দ্বিতীয় মোহন্ত শ্রীমৎ শ্যামাচরণ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের এক নিকট আত্মীয় কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০ বৎ্সরের অধিক দৃষ্টিহীন । কিন্তু তার অন্তরস্থিত একটা বেদনা , পুত্রদের প্রচেষ্টায় নবনির্মিত বাড়িটি তিনি স্বচক্ষে দেখতে পারলেন না । শ্যামাচরণ বাবুর মুখে শুনেছেন , শ্রীশ্রী ঠাকুরের অসীম ক্ষমতা । ঠাকুর যদি একটু করুণা করেন ,তবে অসম্ভবও সম্ভব হইতে পারে ।
শ্যামাচরণ বাবু তার আত্মীয়ের কাতর অনুরোধ শ্রী ঠাকুরকে নিবেদন করলেন । শ্রী ঠাকুরও শুনেছেন এই অনুরোধ কয়েক বছর ধরে , কিন্তু শ্রীঠাকুর উত্তর কোনদিনও দেন নাই ।
একদিন অপরাহ্নে দৃষ্টিহীন বৃদ্ধটি বারান্দায় একটি চেয়ারে বসে তামাক সেবন করছিলেন । এমন সময় তার মনে হইল , কে যেন তার কাছে দাঁড়িয়ে আছেন এবং বলছেন , শ্যাম আমাকে আপনার সাথে দেখা করতে বলেছেন । শ্যাম তার আত্মীয় । দৃষ্টিহীন বৃদ্ধটি ভাবলেন , আগন্তুকের পরিচয় কি ? আগন্তুকটি পরিচয় দিলেন , কার্তিকপুরের ডিঙ্গামানিক গ্রামের শ্রী রামচন্দ্র চক্রবর্ত্তী আমার নাম । দৃষ্টিহীন বৃদ্ধটি চমকে উঠলেন , এই সেই রাম সাধু ! ততক্ষণে ঠাকুরমশাই বৃদ্ধটির হাত ধরে বললেন , আসেন , আপনের বাড়িখানা একবার ঘুইরা দেখি ।
ঠাকুর মশাইয়ের স্পর্শে দৃষ্টিহীন বৃদ্ধটি চক্ষুষ্মান হয়ে উঠলেন , দেখলেন সামনে দাঁড়িয়ে আছেন শ্রীঠাকুর । বৃদ্ধটি হাঁক ডাক করে বাড়ির সকলকে ডাকলেন । সকলেই পরমানন্দে অভিভূত হইলেন এই অসম্ভব ।
শ্রীঠাকুর বৃদ্ধটির হাত ধরে সারা বাড়ি ঘুরলেন । তার আর কি ইচ্ছা তাও জানতে চাইলেন শ্রীঠাকুর । কিন্তু বৃদ্ধটির পরিতৃপ্তি ঘটেছে এবং জানালেন তার আর কোন বাসনা নেই । বাড়ির সকালের অনুরোধে এবার শ্রীঠাকুর বসলেন । বেশ কিছুক্ষণ সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর শ্রীঠাকুর উঠে দাঁড়িয়ে বললেন , এবার আমি আসি গিয়া । শ্যামেরে কইবেন । " জয়রাম "
" মহাজীবনের কাহানী " পৃষ্টা সংখ্যা ৯২ হইতে ।

No comments:

Post a Comment

Comments system

[blogger][disqus][facebook]

Disqus Shortname

designcart

শ্রী শ্রী রামঠাকুরেরস্বহস্ত লিখিত পত্রাংশ -দ্বিতীয় খন্ড-223

Powered by Blogger.