দান-কার্য ও কর্মফলের সত্য — শ্রীশ্রী ফণীন্দ্রকুমার ও পিতৃদেবের কথোপকথন
আপনে জীবনে অন্নদান, বস্ত্রদান, গরীব দুঃখীরে সাহায্য দান, পুষ্করিণী খনন, রাস্তা উৎসর্গীকরণ, নানা পূজা, দোলোৎসবাদী বহু কিছু করছেন। এত কিছু কইরা লাভ কি হইল, আমি কিছু দেখি না...
জয় গোবিন্দ।
— শ্রীশ্রীঠাকুরের সহিত শ্রীঁফণীন্দ্রকুমার মালাকারের পিতৃদেবের কথোপকথন
ব্যাখ্যা (Explanation)
এই কথোপকথন বোঝাচ্ছে—দানের মূল উদ্দেশ্য কেবল বাহ্যিক কর্ম নয়, বরং অন্তরের আসক্তি থেকে মুক্তি। দান যদি স্বার্থ বা অহংকারমুক্ত না হয়, তবে তা মানুষকে পুনর্জন্মে আবদ্ধ রাখে। আসল দান সেইটি, যা ভগবানের উদ্দেশ্যে আসক্তিমুক্ত ভাবে করা হয়।
এভাবে দান করলে কর্মফল-পাশ ভেঙে যায় এবং ভগবানের প্রেমযোগ জন্ম নেয়। এটিই মানব জন্মের চূড়ান্ত সার্থকতা।
প্রয়োগ (Practical Steps)
- দান করার আগে নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন — “আমি কেন দিচ্ছি? খ্যাতি না কি ভগবান?”
- যতটা সম্ভব গোপনে দান করুন, যাতে অহংকার না আসে।
- প্রতি মাসে নিজের দানকর্মের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করুন।
FAQ
প্রশ্ন: দান করলে কি সবসময় পুনর্জন্ম থেকে মুক্তি মেলে?
উত্তর: না, মুক্তি আসে তখনই যখন দান হয় আসক্তিমুক্ত ও ভগবানকে নিবেদিত।
প্রশ্ন: সামাজিক দান (পুকুর খনন, রাস্তা নির্মাণ) করাই যাবে?
উত্তর: অবশ্যই, তবে উদ্দেশ্য হোক ভগবানের জন্য নিঃস্বার্থ সেবা।
No comments:
Post a Comment