আমি স্নান, আহার করিতে করিতে চিন্তা করিলাম ,আজ ঠাকুরকে পাহারা দিয়া দেখিব , ব্যাপার কি ।

 আমি স্নান, আহার করিতে করিতে চিন্তা করিলাম ,আজ ঠাকুরকে পাহারা দিয়া দেখিব , ব্যাপার কি । 


শ্রীঠাকুর নিজেই বললেন , ----
" আজ মায়ের অষ্টমী পূজা " ।
" দেখেন তো অষ্টমী তিথি কতক্ষণ আছে " ?
আমি পঞ্জিকা দেখিয়া শ্রী ঠাকুরকে বলিলাম ,
অষ্টমী তিথি আজ সারাদিন আছে ।
অনেক গুরুভ্রাতা উপস্থিত হইলেন ।
সপ্তমী পূজার ন্যায় অষ্টমী পূজা সাঙ্গ হইলে ,
উপস্থিত ভক্তবৃন্দ পূজার প্রসাদ পাইয়া চলিয়া যান ।
শ্রীঠাকুর মধ্যাহ্ন ভোগ গ্রহনান্তে বলিলেন ,
" এইবার একটু বিশ্রাম করুম " ।
আপনেরা গিয়া আহার--বিহার করেন " ।
"এইখানে আর কারও থাকার প্রয়োজন নাই " ।
ইহার পর শ্রীঠাকুর একখানা চাদর দিয়া মাথা
হইতে পা পর্যন্ত সমস্ত শরীর আচ্ছাদন করিয়া
শয়ন করিলেন ।
আমি স্নান, আহার করিতে করিতে চিন্তা করিলাম ,
আজ ঠাকুরকে পাহারা দিয়া দেখিব ব্যাপার কি ।
একটা বাজিলে খাটে লক্ষ্য করিয়া বুঝিলাম ,
শ্রীঠাকুর চাদরের নীচে নাই ।
চাদরখানা বিছানার সঙ্গে মিশিয়া রহিয়াছে ।
আমি ধীরে ধীরে চাদরখানা শূন্যে তুলিয়া আমার
সন্দেহ দূর করিলাম ।
চাদর পূর্ববৎ শয্যায় পাতিয়া দরজার খিল বন্ধ করিয়া
খাটের অদূরে বাসিয়া রহিলাম ।
যাহা থাকে কপালে আজ দেখিব শ্রীঠাকুর কখন ,
কিভাবে চাদরের নীচে আসেন ।
৪টা বাজিলে দেখি চাদর নড়িতেছে ,
চাদরের নীচে ঠাকুর আছেন ।
হঠাৎ চাদর ফেলিয়া শ্রীঠাকুর উঠিয়া বাসিয়া আমাকে
জিজ্ঞাসা করিলেন ,
" তুমি এইখানে বইসা আছ কেন " ?
আমি দরজার খিল খুলিয়া দিয়া উত্তর দিলাম ,
তোমাকে পাহারা দিচ্ছি ।
ঠাকুর বলিলেন , " তুমি কি চাদর তুইলা দেখছ " ?
আমি উত্তর দিলাম চাদর তুলতে হবে কেন ?
চাদরের উপর দিয়া পরিষ্কার দেখা গেছে ,
তুমি এইখানে নাই ।
তখন চাদর সম্পূর্ণরূপে উঠিয়ে দেখেছি ।
শ্রীঠাকুর আমাকে প্রশ্ন করলেন ,
" তাতে লাভ কি হইল " ?
আমি শ্রীঠাকুরের প্রশ্নের উত্তর দিলাম ,
লাভের জন্য দেখিনি ,
দেখবার জন্য দেখেছি ।
তুমি কোথায় গিয়েছিলে ?
তোমার দেহ সৌরভে সমস্ত ঘর সৌরভময়
হয়েছে কেন ?
এই সময় আমার পিতা , মাতা , বড়দা ,বড়দি ও
ঠাকুরভাই আসিলেন ।
তখন শ্রীঠাকুর বলিলেন , " দেবীপূজায় গেছিলাম " ।
" সেইখানের দেবগন্ধ এখনও দেহে লাইগা আছে " ।
" সেইজন্য এই সৌরভ পাইতেছ " ।
আমি জিজ্ঞাসা করিলাম ,
তুমি কি করে গেলে ? পুনরায় চাদরের নীচে এলে ,
কিছুই দেখতে পেলাম না ।
শ্রীঠাকুর বললেন , " এইগুলি কিছুই না " ।
" প্রয়োজন হইলে দেহ সমেত যত্রতত্র বিচরণ করা যায় " । " অনিমা সিদ্ধির কাজ চোখে দেখা যায় না " ।
" এই সঙ্গে লঘিমা সিদ্ধি কাজ কইরা যায় "
🙏
জয় রাম জয় গোবিন্দ

শ্রী ফনীন্দ্র কুমার মালাকার লিখিত ,
" রামভাই স্মরণে "
পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩৫ হইতে ।

জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম জয় রাম।
আমি স্নান, আহার করিতে করিতে চিন্তা করিলাম ,আজ ঠাকুরকে পাহারা দিয়া দেখিব , ব্যাপার কি । আমি স্নান, আহার করিতে করিতে চিন্তা করিলাম ,আজ ঠাকুরকে পাহারা দিয়া দেখিব , ব্যাপার কি । Reviewed by srisriramthakurfbpage on May 29, 2023 Rating: 5

No comments:

শ্রী শ্রী রামঠাকুরেরস্বহস্ত লিখিত পত্রাংশ -দ্বিতীয় খন্ড-223

Powered by Blogger.