জয় গুরু জয় রাম তোমার চরণে শতকোটি প্রনাম সকলের মঙ্গল করো প্রভু সহায় থেকো গুরুদেব
ঠাকুর ভোগঃ
এক বৃদ্ধলোক ঠাকুরের সহিত দেখা করিতে আসিতে বড়বাজার হইতে অতি উৎকৃষ্ট কয়েকটি ফজলি আম আনাইয়াছিলেন।
প্রথমে তিনি প্রতাপবাবুকে তিনটি আম তুলিয়া রাখিতে বলিয়াছিলেন। একটু পরে আবার বলিলেন যে, তিনটির প্রয়োজন নাই, দুইটি রাখিলেই চলিবে।
এই বলিয়া ঘর হইতে বাহির হইয়া গেলেন কিন্তু একটু পরেই আবার ফিরিয়া আসিয়া বলিলেনঃ "উনি তো কিছুই খান না শুনিয়াছি, দুইটির দরকার নাই, একটাতেই হইবে।"
এই কথা শুনিয়া আমি প্রতাপবাবুকে বলিলামঃ এই আম ঠাকুরের ভোগে লাগিবে না।" তিনি একটু জিজ্ঞাসু নেত্রে আমার দিকে চাহিলেন। আমি তাহাকে জানাইলাম যে, আম কাটিয়া দিতে আমি নিষেধ করিতেছি না, কিন্তু আমার বিশ্বাস যে ঠাকুর ইহা গ্রহণ করিবেন না। ইহার কিছুক্ষণ পরে ঘি, চিনি ও কলা এবং কয়েকটি বিভিন্ন ফলের টুকরা ঠাকুরকে দেওয়া হইল।
ঐ আমটিও প্রতাপবাবু সযত্নে কাটিয়া থালায় সাজাইয়া দিলেন। ঠাকুর ঘি, চিনি ও কলা
একত্রে মাখিয়া গ্রহণ করিলেন এবং ফলও সামান্য কিছু খাইলেন। পরিশেষে ঐ আমের একটি টুকরা মুখে দিয়া বলিলেন যে, আমটা তেতো এবং টুকরাটি থালার পাশে রাখিয়া দিলেন। আমরা সকলেই সেই আম প্রসাদ পাইয়াছিলাম; অতি উৎকৃষ্ট গাছপাকা ফজলী, মিছরির মতো মিষ্টি কিন্তু ঠাকুর বলিলেন যে, আমটা তেতো। এই জাতীয় ঘটনা আমি জীবনে আরও অনেকবার প্রত্যক্ষ করিয়াছি এবং আমার বদ্ধমূল হইয়াছে যে, ঠাকুরের খাওয়া সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করিত যে খাওয়াইত তাহার মন ও নিষ্ঠার উপর।
রাম ঠাকুরের কথা
ডঃ ইন্দুভূষণ বন্ধোপাধ্যায়
.............................................................................................................................................................
No comments:
Post a Comment