ঠাকুর কয়েকটি কথা উচ্চারণ করে বললেন, "সর্বদা মনে মনে কইবা। কারেও কইবা না।" তারপর আর ঠাকুর মশাইকে ছাদে দেখা গেল না।"

 ছোট খুকী (প্রমীলা) খুব অসুস্থ। তার হাঁটবার ক্ষমতা নেই। জানালায় বসে পার্কে ভ্রমণরত ঠাকুরের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকতো। আমরা অনেক সময় বলেছি, "মা, তুমি ঠাকুরের চরণে তোমার অসুখ সারানোর জন্য নিবেদন করো। কিন্তু সে কথা সে কিছুতেই ঠাকুরকে মুখ ফুটে বললো না।... ঠাকুরকে কর্তা বললেন, "বাবা ছোট খুকীকে 'নাম' দেন।" তিনি বললেন "নাম ওর কাছেই আছে। নতুন কইরা কি দিমু?" আমরা একটু আশ্চর্য্য হলাম তাঁর কথা শুনে। ছোটো খুকীকে জিজ্ঞাসা করলাম, "মা, ঠাকুর তোমায় নাম দিয়েছেন?” সে বললো, "হ্যাঁ।” কর্তা আবার বললেন, "আমাদের এমন কথা বলো নি কেন?" খুকী চুপ করে থেকে বললো, "সন্ধ্যার পর একদিন সে ছাদে বেড়াচ্ছে, এমন সময় সে দেখে ঠাকুর তার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আর কেউ সেখানে নেই। ঠাকুর কয়েকটি কথা উচ্চারণ করে বললেন, "সর্বদা মনে মনে কইবা। কারেও কইবা না।" তারপর আর ঠাকুর মশাইকে ছাদে দেখা গেল না।"




(৯) শ্রীতুলসী দাস গঙ্গোপাধ্যায় লিখিত "দয়ার ঠাকুর শ্রীশ্রীরামচন্দ্রদেব"- "শ্রীশ্রীঠাকুরের শ্রীচরণাশ্রয় লাভ” পৃষ্ঠা ৩-৬ (সংক্ষিপ্তভাবে ঘটনার উল্লেখ)।
শ্রীতুলসীদাস গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয় তাঁর বাল্য জীবনের যে দিনটির উল্লেখ করেছেন সে দিনটি তো তাঁর জীবন-প্রদীপ জ্বালানোর এক শুভ মুহূর্ত্ত। তিনি লিখেছেন, "আমাদের ঘরে যমরাজের একটা ফটো ঝুলান ছিল। সেই ফটোতে যমরাজের দূতগণ পাপীদের নানা প্রকার কঠোর সাজা দিচ্ছেন। মাকে ছবির বিষয় জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বলতেন, "যমরাজ পাপীদের সাজা দিচ্ছেন।" "পাপী কে?" "চোর, ডাকাত, খুনী, মিথ্যাবাদীরাই পাপের নানা রকম সাজা পায়।"
তুলসীবাবু ৭ বছর বয়সে একদিন ক্ষীর চুরি করে খেয়েছিলেন। সরল বালক তুলসীবাবু ভাবলেন তবে তো তার জন্যও সাজা হবে। মাকে ব্যাকুল হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন কী রকম সাজা হতে পারে। মা বললেন, "যমরাজের অনুচরেরা তোমার জিহ্বা গরম শলাকার দ্বারা ফুঁড়িবে।" ভীত বালক মায়ের পা জড়িয়ে কেঁদে উঠলেন। মা তাঁকে সান্তনা দিয়ে বললেন, "তুমি সর্বদা রাম রাম জপ করবে- যমরাজের চর তোমাকে স্পর্শও করতে পারবে না।"
মাতৃবাক্যে আশ্বাস পেয়ে ঐ 'রাম' নাম তিনি সর্বদা জপ করতেন। রত্নাকর দস্যু রাম নাম জপ করতে করতে বাল্মীকি মুনিতে পরিণত হয়েছিলেন। আর শ্রীশ্রীরামঠাকুরের শ্রীনাম জপতে জপতে ধ্যানের দেবতার দর্শন ও আশ্রয়লাভ হবে এ তো সুনিশ্চিত।
ক্ষীণকায় সৌম্যমূর্তি ঐ মহাপুরুষের পদযুগলের প্রতিই তাঁর প্রথম দৃষ্টি আকৃষ্ট হল। নয়ন ভরে দর্শন করছেন, আর ঠাকুরও তাঁর দিকে একদৃষ্টে চেয়ে রয়েআকৃষ্ট
ঠাকুর
ভক্তপ্রসঙ্গে লীলালালিত্যে
চলমাম অংশ ৭০,,,,।
ঠাকুর কয়েকটি কথা উচ্চারণ করে বললেন, "সর্বদা মনে মনে কইবা। কারেও কইবা না।" তারপর আর ঠাকুর মশাইকে ছাদে দেখা গেল না।" ঠাকুর কয়েকটি কথা উচ্চারণ করে বললেন, "সর্বদা মনে মনে কইবা। কারেও কইবা না।" তারপর আর ঠাকুর মশাইকে ছাদে দেখা গেল না।" Reviewed by srisriramthakurfbpage on April 02, 2024 Rating: 5

No comments:

শ্রী শ্রী রামঠাকুরেরস্বহস্ত লিখিত পত্রাংশ -দ্বিতীয় খন্ড-223

Powered by Blogger.