কৈবল্যধাম পাহাড়তলী আশ্রমে কামধেনু মাতার অলৌকিক কাহিনী | শ্রীশ্রী রামঠাকুরের আশীর্বাদ
কৈবল্যধামের পবিত্র মাটিতে বহু অলৌকিক কাহিনীর জন্ম হয়েছে। এরই একটি অধ্যায় হল কামধেনু মাতার গল্প।
শ্রীশ্রী রামঠাকুরের অলৌকিক ক্ষমতা এবং করুণাময় সেবার এক অনন্য উদাহরণ কামধেনু মাতা।
চলুন আজ জেনে নেই কৈবল্যধাম পাহাড়তলী আশ্রমে এই বিশেষ কাহিনীর পেছনের রহস্যময় ইতিহাস।"
মূল কাহিনী শুরু:
- কৈবল্যধাম পাহাড়তলী আশ্রমে অভিনন্দিতা কামধেনু মাতার কাহিনী।
- "চল্লিশ দশকের মাঝামাঝি সময় চৌমুহনী আশ্রমে শ্রীশ্রী ঠাকুরের শুভ অবস্থান। শ্রী যুক্ত উপেন্দ্র কুমার সাহা এবং শ্রী যুক্ত নরেন ভূঁইয়া মহাশয় দ্বয়ের তত্বাবধানে শ্রী শ্রী ঠাকুরের সেবা যত্নের কোন ত্রুটি নেই। পুরানো আমলের বাংলো বাড়িটি "রাম ঠাকুরের আশ্রম" রূপেই রূপান্তরিত হয়েছে। তার মধ্যে কামধেনু মাতা সম্বন্ধে বহুশ্রুত কাহিনীটি শ্রীশ্রী রাম ঠাকুরের সর্বজ্ঞতার পরিচয় বহন করছে। পরবর্তীকালে চৌমুহনী আশ্রম থেকে কৈবল্যধাম পাহাড়তলী আশ্রমে কামধেনু মাতা স্থানান্তরিতা হয়ে কৈবল্যধামকে অলঙ্কৃতা করেছেন।
- একদিন ঐ দুই নিরবিচ্ছিন্ন সেবক উপেনদা ও নরেন দা কে ঠাকুর আহবান করে বললেন, " রেল লাইন ধইরা দক্ষিণ দিকে রেল ব্রিজ, আইট্যা বাড়ীর পোলের কাছে যাইয়া দেখেন একটা গরু হাল কান্ধে বইতে না পাইরা মাটিতে শুইয়া পড়ছে, চাষী খুব পিটাইতাছে। আপনার যাইয়া যে দামেই পারেন, চাষী ভাইরে সন্তুষ্ট কইরা গো মাতারে নিয়া আসেন গিয়া।"
- শ্রীশ্রী ঠাকুরের দুই অকৃত্রিম ভক্ত ছুটলেন নির্দিষ্ট পোলের দিকে। মাঠের অনতিদূরে দেখা গেল একজন হাল চাষী একটি শায়িত গরুকে উঠাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে একটা সরু লাঠি দিয়ে তাকে পিটাচ্ছে। ধনবান উপেনদা, নরেনদা চাষীভাইয়ের পরিচিত। তাঁদের প্রশ্নের উত্তরে চাষী ভাই উত্তর দিল, সে হালের উপযোগী গরু কিনতে হাটে গিয়ে এই বকনা গরুটিকে দেখে।
- তাকে বৎস সম্ভবা বলে মনে হওয়াতে এটিকে কিনে নেয় বাছুর ও দুধ পাওয়ার আশায়। কিন্তু দিন দিন পালান নামলেও বাছুর দেওয়ার কোন সম্ভাবনা না থাকায় সে এটিকে হালের কাজে লাগানোর জন্য মনস্থ করেছে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে হালের জোয়াল কাঁধে জুড়লেই গরুটি মাঠে শুয়ে পড়ে।,,,,,,শত চেষ্টাতেও ওঠে না। সুতরাং উপযুক্ত দাম পেলে বেঁচে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
- উপেনদা চাষীর দাবীমত টাকা দিয়ে গরুটিকে কিনে নিলেন। এবং আশ্চর্যের বিষয় গরুটিকে গলায় হাত বুলাতেই সে উঠে দাঁড়াল এবং উপেনদা নরেনদা দ্বারা পরিচালিত হয়ে আশ্রমে উপস্থিত হ,ল। শ্রীশ্রী ঠাকুর অতি যত্নে তাঁর গলায়, পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে বারে বারে বলতে লাগলেন,"কামধেনু মাতা, কামধেনু মাতা।"
- এই নামেই পরিচিতা ধেনুই সকলের "কামধেনু মাতা"। কামধেনুর বিশেষত্ব এই যে এঁরা বাছুর দেয় না। চার পাঁচ বছর বয়স হলেই এদের পালান নামতে থাকে। তখন দোয়ান হলেই দুধ পাওয়া যায়। কামধেনু নামের তাৎপর্য " অভূষ্টদায়িনী গবী।" দেবগবী সুরভি,
- কামধেনু মাতার অলৌকিক ক্ষমতার সঙ্গে ঠাকুরের আশীর্বাদ ও মমতার সম্পর্ক।
- "এই কাহিনী আমাদের শেখায় করুণাময় ঠাকুরের সেবা এবং তাঁর সর্বজ্ঞতার অসীম ক্ষমতা।"
"কামধেনু মাতা এবং শ্রীশ্রী রামঠাকুরের এই অলৌকিক কাহিনী আপনার যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইবকরার ও ভিডিওটি লাইক এবং শেয়ারকরার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
জয় রাম। জয়গোবিন্দ।
#শ্রীশ্রীরামঠাকুর #কৈবল্যধাম #কামধেনুমাতা #আশ্রমেরইতিহাস #ভক্তিকাহিনী #দেবগবীসুরভি #অলৌকিককাহিনী #রামঠাকুর
- কৈবল্যধাম পাহাড়তলী আশ্রম,
- শ্রীশ্রী রামঠাকুর কাহিনী,
- কামধেনু মাতার অলৌকিকতা,
- রামঠাকুরের অলৌকিক ক্ষমতা,
- ধর্মীয় কাহিনী বাংলায়,
- চৌমুহনী আশ্রম থেকে কৈবল্যধাম,
- অভূষ্টদায়িনী দেবগবী,

No comments: