"শ্রী শ্রী রামঠাকুরের অমৃত বাণী | ঠাকুরের জীবনের কিছু মধুর স্মৃতি | শতবার্ষিকী স্মারক গ্রন্থ থেকে"
"শ্রী শ্রী রামঠাকুরের জীবনের মধুর মুহূর্তগুলো আমাদের অন্তর স্পর্শ করে। আজ আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব তাঁর জীবন থেকে নেওয়া কয়েকটি অসাধারণ কাহিনী, যা শতবার্ষিকী স্মারক গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে।"
(
- "শুরু করছি ঠাকুরের জীবনের একটি বিশেষ স্মৃতি।"
- "একদিন প্রভাতবাবুর পত্র শুনে ঠাকুর বলেছিলেন, 'ভাল কথা, বাংলাই বলিতে পারি না, সংস্কৃত বলব কেমন করে?' এই ভাবেই ঠাকুরের সরলতা প্রকাশ পায়।"
- দক্ষিণ দিকে মুখ করিয়া বসিয়াছিলেন। প্রভাতবাবুর পত্র শুনিয়া ঠাকুর বলিয়াছিলেন "ভাল কথা, বাংলাই বলিতে পারি না সংস্কৃত বলবো কেমনে?” আগন্তুকদ্বয় ঠাকুরের দিকে পিছন করিয়া উহাদের প্রশ্নগুলি আমাকেই ইংরাজীতে বলিতে লাগিলেন। কিন্তু তাহার ভাব ঠিক রাখিয়া বাংলায় ঠাকুরকে বুঝাইয়া দেওয়া আমার বিদ্যায় কুলাইল না। ঠাকুর আমাকে বলিলেন, "ইহাদের জন্য একটা তরমুজ আনেন গিয়া।” আমিও রক্ষা পাইলাম।
- মিউনিসিপ্যাল মার্কেটে শ্রদ্ধেয় ভ্রাতা ভুবন মোহন মুখোপাধ্যায়ের বাসায় ঘন্টাখানেক কাটাইয়া এক তরমুজ নিয়া আসিলাম। আমি দোতলায় উঠিয়া দেখি ঠাকুরের পায়ে দুই ব্রাহ্মণ নমস্কার করিতেছেন, আর তাঁহাদের মাথায় হাত রাখিয়া ঠাকুর বলিতেছেন, "গোবিন্দ গোবিন্দ"। মাদ্রাজী ব্রাহ্মণ নিজের পিতামাতা ভিন্ন পায়ে পড়িয়া কাহাকেও নমস্কার করেন না। তাঁহাদের প্রশ্নসমূহের উত্তর সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করিতে বলিলেন যে, যে সব প্রশ্ন উদয় হইয়াছিল সে সমস্তের অত্যন্ত সন্তোষজনক উত্তর তো পাইয়াছেনই, এই সম্বন্ধে আরও যে সব প্রশ্ন উদয় হইতে পারে তাহারও মীমাংসা হইয়াছে।
- আমি একবার প্রশ্ন করিয়াছিলাম "বাবা, আপনাকে এত ভাল লাগে, কত জন্মের সম্পর্ক?" তিনি উত্তর করিলেন "জন্ম তো একবারই হয়, সেই বৃন্দাবন হইতে একই আছি।" আমার মেয়ে পচু একদিন ঠাকুরের মশারি খাটাইতে গিয়া ঠাকুরের গায়ে পা লাগিয়া গেল। পচু অমনি থতমত খাইয়া ঠাকুরের পায়ে মাথা ঠুকিতে লাগিল। ঠাকুর বলিলেন "পা টা আপনার আর মাথাটা আপনার না?"
- একবার ঠাকুরকে বলিলাম "আপনাকে এত ভাল লাগে, আপনি দেহ রক্ষা করিলে আমাদের কি উপায় হইবে?" "দেহান্ত হইলে আরও বেশী পাইবেন"- এই অমোঘ সত্য এখন প্রতি মুহূর্তে উপলব্ধি করিতেছি। আমি মুখে মুখে ৯/১০ অঙ্ককে ৯/১০ অঙ্ক দিয়া পূরণ করিতে পারিতাম এবং সোমেশ বসু নামে এক ভদ্রলোক ২০/২১ অঙ্ক দ্বারা মুখে মুখে পূরণ করিতেন। আমরা ডান দিক হইতে বাম দিকে লিখিতাম। আমি ঐরূপ পূরণ করিতেছি তখন ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিলেন "ও কি করিতেছেন।” বলিলাম পূরণ করি। "ও তো হইয়াই আছে।” আমার রাগ ও দুঃখ হইল-বলিলাম "আপনি পারেন?" "দেন্ না দেখি পারি কি না!” আমি গোটা ২০ অঙ্ককে গোটা ২০ অঙ্ক দিয়া পূরণ করার এক অঙ্ক কাগজে লিখিয়া ঠাকুরের হাতে দেওয়া মাত্র তিনি বাম দিক হইতে উহার উত্তরটি লিখিয়া আমার হাতে দিলেন। ইহার পরীক্ষা করিতে আমার এক ঘণ্টা লাগিল। একবার প্রশ্ন করিলাম, আপনি আমাদিগকে 'আপনি' বলেন কেন?
প্রথম ঘটনাটি বর্ণনা:
- "মাদ্রাজী ব্রাহ্মণরা যখন ঠাকুরের পায়ে নমস্কার করেন, তখন ঠাকুর শুধু বলেছিলেন, 'গোবিন্দ গোবিন্দ।' তাঁদের প্রশ্নের উত্তরও যে সন্তোষজনক ছিল, তা তাঁদের কথাতেই বোঝা যায়।"
ঠাকুরের দেহ ধারণের প্রশ্ন ও উত্তরের অংশ:
- "ঠাকুরকে যখন জিজ্ঞাসা করা হলো, 'আপনি দেহ রক্ষা না করলে আমাদের উপায় কী হবে?' তখন ঠাকুর উত্তর দিলেন, 'দেহান্ত হলে আরও বেশি পাবেন।' সত্যিই, তাঁর অনুপ্রেরণা আজও অনুভূত হয়।"
ঠাকুরের মশারি ও পচুর কাহিনী:
- "ঠাকুরের মশারি খাটাতে গিয়ে পচু যখন তাঁর গায়ে পা লাগিয়ে ফেলে, ঠাকুর মধুর কণ্ঠে বলেন, 'পা টা আপনার আর মাথাটা আপনার না?' এই স্নেহময় আচরণ ঠাকুরের প্রকৃত স্বভাবের প্রতিফলন।"
গণিত পূরণের অদ্ভুত দক্ষতা:
- "ঠাকুর গণিতের জটিল সমস্যাও মুখে মুখে সমাধান করে ফেলতেন। আমার এক ঘণ্টা লেগেছিল যে অঙ্ক পরীক্ষা করতে, ঠাকুর মুহূর্তেই তার সমাধান করে দেন!"
উপসংহার:
- "ঠাকুর আমাদের শিখিয়েছেন জীবনের সরলতা ও মানবিকতার পথ। তাঁর স্মৃতিগুলো চিরকাল আমাদের হৃদয়ে স্থান পাবে।"
"এমনই অসাধারণ কাহিনী এবং ঠাকুরের স্মৃতি আমাদের পথপ্রদর্শক। ঠাকুরের অমৃত বাণী শুনতে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং শেয়ার করুন। পরবর্তী ভিডিওতে আবার দেখা হবে।"
হ্যাশট্যাগস (Hashtags):
#শ্রীশ্রীরামঠাকুর #ঠাকুরেরকাহিনী #বাংলাধর্মীয়গান #রামঠাকুরস্মৃতি #ঠাকুরেরঅমৃতবাণী #ধর্মীয়শিক্ষা #বাংলাদেশ #হিন্দুধর্ম
No comments: