"বেদবাণী ৩/১৭৫: শ্রী শ্রী রামঠাকুরের জীবন পরিবর্তনকারী বাণী"
"জয়গুরু। শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বাণী আমাদের জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধান এবং আত্মার মুক্তির পথ দেখায়।
বেদবাণী ৩/১৭৫ ।
“ লোক সকল স্বকীয় অপরাধের দ্বারা প্রকৃতির তারতম্য অনুসারে এই অস্থায়ী কালের কবলে পরিয়া ভিন্ন বুদ্ধির দ্বারা কলুষিত হইয়া শান্তি অশান্তি উপভোগ করে। ইহার [?] কর্ত্তা হই বলিয়া আমি-জ্ঞান বন্দী হইয়া পড়ি এবং কর্ত্তৃত্বদ্বারা আমার জ্ঞানে বিমোহিত হই। সত্যকে জানিতে না পারিয়া আমার স্ত্রী, আমার পুত্র, আমার জাতি, মান, ধর্ম্ম, অধর্ম্ম, ভাবে প্রমত্ত হইয়া পরি। কিন্তু ঘুমাইলে ইহার কেহই থাকে না। তখন সত্যই থাকে। যখন কর্ত্তা হইয়া জাগি তখন আমি ভাগে ভাগে দ্বিধা হইয়া পড়ি। অতএব এই কর্ত্তৃত্ব ছাড়িয়া যাহার যাহা ভাগ্য ভোগে আটক আছে তাহাতে বাধা না দিয়া সত্যকে আশ্রয় করিয়া থাকিলে সকলি আপনার হইয়া যায়। অবিচ্ছেদে সত্যকে পায়, ইহাই অভিসম্পাদ মুক্ত বলিয়া জানিবেন। এই ভাবকে আশীর্ব্বাদ জানিবেন। অভিসম্পাদের দরুনই এই সকল বৈষম্য সম্বন্ধ জ্ঞান হয়। নিজ নিজ অধিকারের দাবি না করিয়া কর্ত্তব্য সম্বন্ধে সচেতন থাকাই ধর্ম্ম।”
"বেদবাণী ৩/১৭৫" ব্যাখ্যা ও গুরুত্ব
এই উক্তিতে শ্রী শ্রী রামঠাকুর মানবজীবনের গভীর সত্য এবং আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। এখানে তিনি আমাদের জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই বাণীকে যদি আমরা বিশ্লেষণ করি, তাহলে কিছু মূল পয়েন্ট উঠে আসে:
১. অপরাধ ও প্রকৃতির তারতম্য:
মানুষ তার কর্মফল এবং নিজের অপরাধের মাধ্যমে জীবনের সুখ-দুঃখের মধ্য দিয়ে যায়।
- আমরা প্রকৃতির নিয়মের অধীন, এবং আমাদের কর্ম অনুযায়ী ফল ভোগ করতে বাধ্য।
- নিজের ভুলের কারণে আমরা "আমি" জ্ঞান দ্বারা আবদ্ধ হয়ে পড়ি। এই "আমি"-র অভিমানই আমাদের দুঃখ-কষ্টের মূল কারণ।
২. কর্তৃত্ব ও বিভ্রান্তি:
"আমি-জ্ঞান" আমাদের বিভ্রান্তির মূল কারণ।
- আমরা মনে করি, আমাদের স্ত্রী, সন্তান, জাতি, মান-সম্মান—এসবই আমাদের সম্পদ।
- এই বিভ্রান্তি সত্যকে বুঝতে বাধা দেয়। কিন্তু ঘুমের সময় যখন "আমি" বোধ কাজ করে না, তখন কিছুই থাকে না, কেবলমাত্র সত্যই থাকে।
৩. সত্যের আশ্রয়:
ঠাকুরের মতে, জীবনে সত্যের আশ্রয় নিলে সব কিছু আমাদের হয়ে যায়।
- আমাদের কর্তৃত্বের মোহ ত্যাগ করতে হবে।
- যে যার ভাগ্যে আটক, সে তার ফল ভোগ করবেই। এতে কোনো বাধা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
- সত্যকে নির্ভর করেই জীবনের বৈচিত্র্যময় সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে।
৪. অভিসম্পাদ মুক্তি:
শ্রী ঠাকুর এখানে মুক্তির দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
- সত্যের আশ্রয়ে অবিচ্ছেদে থাকা মানেই অভিসম্পাদ মুক্তি।
- যখন আমরা আমাদের অধিকারের দাবি ত্যাগ করে নিজের কর্তব্যে মনোনিবেশ করি, তখনই তা ধর্ম পালন হিসেবে বিবেচিত হয়।
সংক্ষেপে মূল শিক্ষা:
এই বাণী আমাদের শেখায়:
- "আমি"-র অহংকার এবং কর্তৃত্ব ত্যাগ করতে হবে।
- সত্যের আশ্রয়ে থাকা এবং নিজের কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন থাকা জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য।
- ভাগ্যে যা আছে, তা মেনে নিয়ে চলতে হবে।
- বৈষম্য এবং বিভেদ দূর করে সত্যের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা মুক্তির একমাত্র পথ।
"এই ভাবকে আশীর্বাদ জানিবেন।"—এই উক্তি আমাদের নির্দেশ করে যে, সত্যকে জীবনের সর্বোচ্চ প্রেরণা এবং পথপ্রদর্শক হিসেবে গ্রহণ করাই প্রকৃত ধর্ম।
জয়গুরু।
"জয়গুরু। শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বাণী আমাদের জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধান এবং আত্মার মুক্তির পথ দেখায়। এই ভিডিওটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর শ্রী ঠাকুরের এই ধরনের আরো বাণী এবং শিক্ষার জন্য আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। ঠাকুরের আশীর্বাদ আপনাদের জীবনে সর্বদা বিরাজমান থাকুক। আমাদের পরবর্তী ভিডিওতে আবার দেখা হবে। জয়গুরু।"
#বেদবাণী #শ্রীশ্রীরামঠাকুর #জয়গুরু #আধ্যাত্মিকবাণী #সত্যেরআশ্রয় #আধ্যাত্মিকতা #ভক্তিবাণী #শান্তি #অভিসম্পাদমুক্তি #ভক্তিমূলক #spirituality #truth #ramthakur
#বেদবাণী #শ্রীশ্রীরামঠাকুর #জয়গুরু #আধ্যাত্মিকবাণী #সত্যেরআশ্রয় #আধ্যাত্মিকতা #ভক্তিবাণী #শান্তি #অভিসম্পাদমুক্তি #ভক্তিমূলক #spirituality #truth #ramthakur

No comments: