কবি নবীন চন্দ্রের ভাষায় রাম ঠাকুর
"আমার জীবন” চতুর্থ খণ্ডে নবীনচন্দ্র লিখিয়াছেন: "ফেণীতে যে কারখানা প্রস্তুত হইতেছিল, রামঠাকুর তাহার সরকার হইয়া আসিল লোকে বলিতে লাগিল যে, কখনও তাহাকে গৃহে আহ্নিকে দেখিয়াছে এবং পরের মুহূর্তে রামঠাকুর অদৃশ্য হইয়াছে। কেহ তাঁহাকে রাত্রিশেষে রক্তচন্দন চর্চ্চিত অবস্থায় কোনও বৃক্ষ হইতে অবতরণ করিতে সর্প দংশন করিতে, গরু মহিষ মারিতে আসিতেছে, আর রামঠাকুর বারণ করা মাত্র চলিয়া গিয়াছে। নিজে কিছুই আহার করে না, কদাচিৎ দুগ্ধ বা ফল আহার করে, অথচ তাঁহার সবল সুস্থ শরীর। পরসেবাদেখিয়াছে। য় তাঁহার পরমানন্দ। জেলখানার ইটখোলার গৃহে পার্বলিক ওয়ার্কস প্রভুদের বারাঙ্গনাগণ কখন পালে পালে উপস্থিত হয়। কিন্তু রামঠাকুর তাহাদের ঘৃণা করা দূরে থাকুক, বরং সন্তোষের সহিত নিজে রাঁধিয়া তাহাদের অতি যত্নে আহার করায় এবং মাতাল হইয়া পড়িলে তাহাদের আপন মাতা বা ভগিনীর মত শুশ্রূষা করে।”
কবিবর আরও বলিয়াছেন: “রামঠাকুর দেখিতে ক্ষীণাঙ্গ, সুন্দর, শান্তমূর্ত্তি। নিতান্ত পীড়াপীড়ি না করিলে কাহারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করে না, কোনও কথা কহে না। পূর্ব্বেই বলিয়াছি, তাঁহার ৮ হইতে ১২ বৎসর পর্যন্ত সামান্য বাঙ্গালা শিক্ষামাত্র হইয়াছিল। কিন্তু ধর্ম্মের নিগূঢ় তত্ত্ব, এমন কি প্রণবের অর্থ পর্য্যন্ত সে জলের মত বুঝাইয়া দিত। আমি তাঁহাকে বড় শ্রদ্ধা করিতাম। মধ্যে মধ্যে আমি তাঁহাকে পীড়াপীড়ি করিয়া আমার গৃহে আনাইতাম এবং পতি পত্নী মুগ্ধচিত্তে তাঁহার অদ্ভুত ব্যাখ্যা সকল শুনিতাম। বলাবাহুল্য, সে পেশাদার হিন্দু প্রচারকের ব্যাখ্যা নহে”।
শ্রীশ্রী রামঠাকুর
সূত্র- রাম ঠাকুরের কথা। লেখক-শ্রী ইন্দুভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
home
কবিবর আরও বলিয়াছেন: “রামঠাকুর দেখিতে ক্ষীণাঙ্গ, সুন্দর, শান্তমূর্ত্তি।
Reviewed by srisriramthakurfbpage
on
April 05, 2024
Rating:
No comments: