আর কোনদিন ঐ ভাবে একই পাতায়
বারবার প্রসাদ পাইতে দেখি নাই ।
:- - রোহিণী কুমার মজুমদার ।
পাহাড়তলী ষ্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছিলে গুরুভ্রাতারা প্রায়
সকলেই নামিয়া কৈবল্যধাম চলিয়া গেলেন ।
আমি ( রোহীনী কুমার মজুমদার ) শ্রীঠাকুরকে লইয়া
চট্টগ্রাম পৌঁছিলে বিধুদা মোটর গাড়ি করিয়া আমাদেরকে
তাহার বাসায় লইয়া গেলেন ।
১৫ ই ফাল্গুন বিধুদারও নিজস্ব গৃহপ্রবেশের দিন ছিল ।
ঐ দিন প্রথমে ঠাকুরকে লইয়া বিধুদা আপন
গৃহ-প্রবেশ করিলেন ।
পরে বেলা প্রায় নয়টার সময় বিধুদার নিয়োজিত একখানি
বড় মোটরগাড়ি করিয়া শ্রীঠাকুর বিধুদা ও অন্যান্য ভক্তদেরকে সঙ্গে লইয়া কৈবল্যধামের পাদদেশে আসিলেন ।
উদ্দাম কীর্ত্তন , শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনি সহযোগে উপস্থিত
সকল ভক্তগণ শ্রীঠাকুরকে অভ্যর্থনা করিলেন ।
পাহাড়ের উপরে উঠিবার সময় ঠাকুরের শ্রীদেহে ফুল ও নানা সুগন্ধ দ্রব্য ছড়ানো হইয়াছিল ।
বিমল আনন্দের স্রোত বহিতেছিল ।
নানা স্থান হইতে বহু আশ্রিত ভক্ত আসিয়াছিল ।
স্থান সঙ্কুলান না হাওয়ায় অস্থায়ী ভাবে টিনের আচ্ছাদন
তৈয়ারী হইয়াছিল ।
তখনও হিমের আমেজ ছিল ।
ঐ আচ্ছাদনের মধ্যে খড় বিছাইয়া সকলে বিছানা করিয়া রাত্রিতে শয়ন করিতাম ।
আশ্রিতদের মধ্যে ভেদাভেদের চিহ্নমাত্র ছিল না ।
সবাই যেন একই পরিবারের লোক আর তাহাদের একমাএ
কর্ত্তা শ্রীশ্রী রামঠাকুর ।
শ্রীঠাকুরের চিন্তাই সকলের মনকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছিল ।
তিনদিন ধরিয়া চলিল মহোৎসব ।
প্রসাদ বিতরণের সময় দেখিলাম অসংখ্য ভক্তের উপস্থিতি । তখন কৈবল্যধামের স্থান খুব সঙ্কীর্ণ ছিল ।
প্রসাদ পাইবার জন্য ভক্তের এত আগ্রহ আর কোন দিন
দেখি নাই ।
একবার কলার পাতা পাতিয়া আর উঠাইতে হইল না ।
একই পাতাতে প্রত্যহ রাত্রি বারটা পর্য্যন্ত সবাই প্রসাদ
গ্রহণ করিয়াছিলেন ।
জীবনে অনেক মহোৎসবে যোগদান করিয়াছি ।
কিন্তু আর কোন দিন ঐ ভাবে একই পাতায় বারবার
প্রসাদ পাইতে দেখি নাই ।
সমস্ত দিন ধরিয়া প্রসাদ বিতরণ করা হইয়াছিল ।
সকল কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য কোথাও কোন
অসুবিধা ঘটিতে পারে নাই ।
" জয়রাম "
রোহিণী কুমার মজুমদার ।
" শ্রীগুরু শ্রীশ্রীরাম ঠাকুর "
পৃষ্টা সংখ্যা ১১৮ হইতে ।
প্রসাদ পাইবার জন্য ভক্তের এত আগ্রহ আর কোন দিন দেখি নাই ।
Reviewed by srisriramthakurfbpage
on
April 06, 2024
Rating:
No comments: