শ্রীশ্রীরামঠাকুর ,কথা ও বাণী (বেদবানী )
ঠাকুরের সর্বাঙ্গে অসহনীয় যন্ত্রণা ক্লান্তিতে তাঁহার আর এক পা-ও অগ্রসর হইবার শক্তি নাই।ঠাকুর গভীর নিদ্রায় নিদ্রিত হইলেন।ঘোর কৃষ্ণবর্ণ অন্ধকার রাত্রি।এই অন্ধকার রজনীতে তিনি ও নারায়ণ নিদ্রিত।শ্রীশ্রীঠাকুর গভীর ঘুমে অচেতন।শেষ রাত্রিতে অরণ্যের মধ্যে হুর হুর শব্দে ঠাকুরের নিদ্রা ভঙ্গ হইল।দেখিতে পাইলেন চারিদিকে মশালের আলো।তিনি ভাবিতে লাগিলেন ডাকাতের দল আসিতেছে! আজ আর রক্ষা নাই।তিনি তাড়াতাড়ি নারায়ণ-শিলাকে কন্ঠে ধারণ করিলেন।এই অন্ধকারে তিনি কোথায়ই বা যাইবেন।কে যে চিৎকার করিয়া উঠিল--এই তো,এই পথে এস।একজন বলিলেন,ভাল করিয়া খুঁজিয়া দেখ।তাহাকে না পাইলে রাজা আমাদের গর্দান নিবেন।এমন সময় রাজা এবং তাঁহার কর্মচারীগণ দল বাঁধিয়া আসিয়া ঠাকুরের সম্মুখে উপস্থিত হইল।রাজা ঠাকুরের পা ধরিয়া বলিলেন,আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।আমার রাজ্যে চলুন।আমার রাজ্যে নারায়ণ-শিলাকে প্রতিষ্ঠা করিবেন।আমি তাহার উপর একটি মন্দির করিয়া দিব।আপনি ঐ শিলার সেবাপূজার ভার লইয়া আমার রাজ্যে থাকিবেন।শ্রীশ্রীঠাকুর এই সকল কথা শুনিয়া হতবাক হইলেন।তিনি এই সকল কথার অর্থ কিছুই বুঝিতে পারিতেছেন না।একদিন পূর্বে যিনি তাঁহাকে গলাধাক্কা দিয়া তাড়াইয়া দিয়াছেন,সেই রাজাই আবার তাঁহাকে পায়ে ধরিয়া লইতে আসিয়াছেন।শ্রীশ্রীঠাকুর ইতস্তত: করিতেছেন দেখিয়া রাজা বলিলেন,হে প্রভু! আমার রানী রাত্রিতে স্বপ্ন দেখিয়াছেন এই নারায়ণ-শিলার সেবাপূজার ভার না লইলে আমার রাজ্য ছারখার হইয়া যাইবে।আমার বংশে বাতি দেওয়ার লোক থাকিবে না।
....
শ্রীশ্রীকৈবল্যনাথ স্মরণে,
ডা: খগেন্দ্রনাথ গুপ্ত

No comments: