Monday, 14 April 2025

 শ্রীঠাকুর মশারির মধ্যে শূন্যে বসিয়া আছেন ।

জয় গুরু <> জয় রাম <> জয় গোবিন্দ ।
~~ শুভ সকাল ~~
কয়েক বৎসর পরে শ্রীশ্রীঠাকুরের পিতৃ বিয়োগ হয় ।
পিতৃশ্রাদ্ধ সমাপন হইলে তিনি মাতার ভরণপোষণের নিমিত্ত অর্থান্বেষণে বাহির হইলেন ।
বয়স তখন ২০/২১ বৎসর মাত্র ।
নোয়াখালী আসিয়া সিভিল কোর্টের নাজির সদানন্দ গঙ্গোপাধ্যায়ের গৃহে মাসিক পাঁচ টাকা বেতনে রন্ধনকার্য্যে নিযুক্ত হন ।
নোয়াখালীতে শ্রীঠাকুর প্রথমে এই নাজিরবাবুর নিকটেই প্রকাশিত হন ।
শ্রীঠাকুর নিয়মিত ভাবে রন্ধনকার্য্য করিতেন ,
কিন্তু কোনদিনও নিজে কিছু আহার করিতেন না ।
নিজের ভাগের ভাত-তরকারি কুকুর ,
বিড়াল প্রভৃতি জন্তুদের খাওয়াতেন ।
এই বিষয় একমাএ বাড়ির ভৃত্য ছাড়া অন্য কেহই
জানিতেন না ।
একদিন রাত্রিতে শ্রীঠাকুরের শয়নঘরে ভৃত্যটি প্রবেশ
করিয়া দেখিতে পায় ,
শ্রীঠাকুর মশারির মধ্যে শূন্যে বসিয়া আছেন ।
ভৃত্যটি ভয়ে চিৎকার করিয়া উঠিলে সদানন্দবাবু
বাহিরে আসিলেন ।
সদানন্দবাবুকে দেখিয়া সে বলিল ,
ঐ ভূতুড়ে ঠাকুর মশারির মধ্যে ঝুলিতেছে ।
সদানন্দবাবু সেই ঘরে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন ,
শ্রীঠাকুর মশারির ভিতরে অকাতরে ঘুমাইতেছেন ।
ভৃত্যটি যখন বুঝিল সদানন্দবাবু তাহার কথা বিশ্বাস
করিতেছেন না ,
তখন সে বার বার বলিতে লাগিল ,
সত্যই এই ঠাকুর মশারির মধ্যে শূন্যে ঝুলিতে ছিল ।
আর এই ঠাকুর কোন দিনও কিছু খায় না ,
তাঁহার আহার্য্য কুকুর , বিড়াল ও গরুকে খাওয়ায় ।
ভৃত্যের এই সব কথা বিশ্বাস না করিলেও সদানন্দবাবুর
মনে সন্দেহের উদ্রেক হইল ।
পরদিন রাত্রিতে শ্রীঠাকুরের আহারের প্রতি তিনি
লক্ষ্য রাখিলেন ।
শ্রীঠাকুর সবার আহারের পরে ভৃত্যকে ভাত-তরকারি
দিয়া একটি থালায় কিছু ভাত-তরকারি লইয়া জঙ্গলের
দিকে চলিলেন ।
সদানন্দবাবু শ্রীঠাকুরের পশ্চাৎ্ পশ্চাৎ গিয়া দেখিলেন যে , একটি কৃষ্ণকায় গাভী আসিয়া থালা হইতে ভাত-তরকারি
খাইতে আরম্ভ করিল ।
শ্রীঠাকুরের এই কার্য্য দেখিয়া সদানন্দবাবু আশ্চর্যান্বিত
হইয়া গরুটির খাওয়া শেষ না হওয়া পর্য্যন্ত চুপ করিয়া
দাঁড়াইয়া ছিলেন ।
শ্রীঠাকুর শূন্য থালা হাতে ফিরিলে সদানন্দবাবু জিজ্ঞাসা করিলেন ,
নিজে না খাইয়া ঐ গাভীটিকে খাওয়াইলেন ?
শ্রীঠাকুর বলিলেন ,
আমার খাওয়ার প্রয়োজন হয় না ।
সদানন্দবাবু বলিলেন ,
আমার ভাত নষ্ট করেন কেন ?
শ্রীঠাকুর বলিলেন ,
আমি খাইলেও তো আপনার চাউল খরচ হইত ,
তাই আমি না খাইয়া গরুটিকে খাওয়াইলাম ,
ইহাতে আপনার কোন ক্ষতি হয় নাই ।
সদানন্দবাবু শ্রীঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করিলেন ,
আহারের যদি আপনার প্রয়োজন না থাকে তবে আপনি
চাকুরী কেন করেন ?
শ্রীঠাকুর বলিলেন ,
চাকুরী করি আমার মাতার ভরণপোষণের জন্য ।
সদানন্দবাবু বলিলেন ,
ঠাকুর , আপনার আর চাকুরীর প্রয়োজন নাই ।
আপনি এখানে ইচ্ছা চলিয়া যান ।
আমি যত দিন বাঁচিয়া থাকিব প্রতি মাসে আপনার মাতাকে পাঁচটি করিয়া টাকা পাঠাইব ।
আপনি শুধু আমাকে মনে রাখিবেন ।
:----রোহীনী কুমার মজুমদার
" শ্রীগুরু শ্রীশ্রীরাম ঠাকুর "
পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৩৮ হইতে ।
All reactions:
1

Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook

All reactions:

1

No comments:

Post a Comment

Comments system

[blogger][disqus][facebook]

Disqus Shortname

designcart

শ্রী শ্রী রামঠাকুরেরস্বহস্ত লিখিত পত্রাংশ -দ্বিতীয় খন্ড-223

Powered by Blogger.