সর্ব্ব্দা নাম জপ করিলে অন্তিমে কৈবল্যপ্রাপ্তি হইবে ।

 সর্ব্ব্দা নাম জপ করিলে অন্তিমে কৈবল্যপ্রাপ্তি হইবে ।

: - - শ্রীশ্রী রামঠাকুর হরে কৃষ্ণ 🙏হরে কৃষ্ণ 🙏কৃষ্ণ কৃষ্ণ 🙏হরে হরে 🙏 হরে রাম 🙏 হরে রাম 🙏 রাম রাম 🙏 হরে হরে 🙏

তন্ত্র , মন্ত্র , বেদ , উপনিষদ , সাংখ্য , দর্শন , জ্যোতিষ গণনা , ডাক্তারী , কবিরাজী প্রভৃতি সকল শাস্ত্রেই তাঁহার সমান অধিকার ছিল । ভারতের প্রচলিত ভাষাগুলি সবই তিনি ( শ্রীশ্রী রামঠাকুর ) জানিতেন । শ্রী ঠাকুরের শ্রীমুখের গীতা ব্যাখ্যা বাজারে প্রকাশিত কোন ভাষ্যে পাওয়া যায় না । যাঁহারা সৌভাগ্যক্রমে শ্রীমুখের গীতা ব্যাখ্যা শুনিয়াছেন তাহারাই মুগ্ধ হইয়া বলিয়াছেন , এমন ব্যাখ্যা পূর্ব্বে কখনও শোনেন নাই । শ্রীঠাকুরের নিকট কোন জাতিভেদ ছিল না । হিন্দু , মুসলমান , খ্রীষ্টান বৌদ্ধ সবাই মানবজাতি । সকলকে তিনি কোল দিয়াছেন । হিন্দুর মন্দির , মুসলমানের মসজিদ , খ্রীষ্টানদের গির্জ্জা , সবগুলিকেই তিনি এক মনে করিতেন । শ্রীঠাকুর স্বয়ং মক্কা-মদিনা মুসলমান তীর্থক্ষেত্র দর্শন করিয়াছেন । ধর্ম্ম অনুযায়ী প্রত্যেকেরই এক গুরু । পীর বা ধর্ম্মযাজকের নিকট হইতে দীক্ষা বা নাম গ্রহণ করিতে হয় । ঐ নাম বা মন্ত্র জপ করিয়া ভগবানকে আরাধনা করিতে হয় । সর্ব্বধর্ম্মই এক ভগবানকে নির্দ্দেশ করে । ভগবান এক এক সময় এক এক অবতারে স্থান , কাল ও লোকের স্বভাব অনুযায়ী এক এক ধর্ম্ম প্রচার করেন । সুতরাং ভগবানের আরাধনায় ভেদাভেদ কেন ? যে-কোন ধর্ম্মোৎসবে সব জাতিই যোগদান দিতে পারেন । যাঁহারা নাম পাইয়া বা দীক্ষা গ্রহণ করিয়া ধন্য হইয়াছেন , সবাইকে শ্রীঠাকুর বলিয়াছেন ," এই নাম জীবনের একমাএ সম্বল " । পূজা-অর্চনা , ভোগ নিবেদন যাহা কিছু করিবেন , ঐ নাম স্মরণ করিয়া করিবেন । সর্ব্বদা নাম জপ করিলে অন্তিমে কৈবল্যপ্রাপ্তি হইবে । সর্ব্ব্দা , সর্ব্ব অবস্থায় এই নাম জপ করিতে হইবে । " জয়রাম " রোহিণী কুমার মজুমদার , " শ্রীগুরু শ্রীশ্রীরাম ঠাকুর " পৃষ্টা সংখ্যা ১৮৩ হইতে