শ্রীশ্রীঠাকুর মাকে বললেন,মা , মনে দুঃখ রাখতে নাখতে নাই। কুম্ভ গৃহী সংসারী লোকের জন্য নয়। কুম্ভমেলা সাধু মহাত্মাদের জন্য। তবে লোক সকল কুম্ভে যায় , সাধু দর্শন হয় এই যা। সকলেরই কুম্ভস্নান হয় না। "
জয় রাম জয় গোবিন্দ
আমার মা ঠাকুরকে বললেন , ঠাকুর,চিরদিন ত রান্না নিয়েই থাকলাম।
কুম্ভ মেলায়ও গেলাম না মনে বড় দুঃখ রয়ে গেলো।
শ্রীশ্রীঠাকুর মাকে বললেন,মা , মনে দুঃখ রাখতে নাখতে নাই।
কুম্ভ গৃহী সংসারী লোকের জন্য নয়। কুম্ভমেলা সাধু মহাত্মাদের জন্য।
তবে লোক সকল কুম্ভে যায় , সাধু দর্শন হয় এই যা। সকলেরই কুম্ভস্নান হয় না। " তারপর ঠাকুর মাকে বলিলেন , " মা , আপনার মনে কুম্ভস্নানের দুঃখ আছে।
আপনি এক ঘটি জল আনেন।" মা এক ঘটি জল ও গামলা আনলেন। ঘটির মধ্যে একসেরের মত জল ছিল। আর গামলায় কোন জল ছিল না।
তাতে অবশ্য ৮/৫ সেরের মত জল ধরে। ঠাকুর খাটের উপর বসে গামলায় শ্রীপাদপদ্ম রাখলেন। মা তার বীজমন্ত্র জপ করতে করতে ঠাকুরের শ্রীচরণে ঘটির জল ঢালতে লাগলেন। সেই ঘটির জল ঠাকুরের শ্রীচরণ ধুয়ে কুলু কুলু শব্দ করে গামলা ভর্ত্তি হয়ে মাটিতে গড়িয়ে পড়তে লাগলো। আশ্চর্য্যের বিষয় গামলা থেকে ঘটি অনেক ছোট ছিল , এত জল কোথা থেকে এলো ? সেই অত্যাশ্চর্য্য দৃশ্য দেখে আমাদের যে কী আনন্দ হয়েছিল তা লেখা দ্বারা প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
আমার মনে হল তখন আমরা সকলেই এক অপার্থিব জগতে ছিলাম। সেই সকল দিন আর কখনও ফিরে পাব না। এখনও মনে পড়লে এক স্বর্গীয় আনন্দ অনুভূত হয়।
যাক , তারপর ঠাকুর বললেন , " নেন আপনারা সকলে কুম্ভের স্নান করেন।কাহারও মনে যেন কোন দুঃখ না থাকে। "
আমরা সবাই মিলে সেই কুম্ভের জল মাথায় দিলাম।শ্রীশ্রীঠাকুরের কৃপায় আমাদের সকলের কুম্ভস্নান হয়ে গেলো।
ঊষারাণী গঙ্গোপাধ্যায়
( আমার জীবনে শ্রীশ্রীরামঠাকুর )
শ্রীশ্রীঠাকুর মাকে বললেন,মা , মনে দুঃখ রাখতে নাখতে নাই।
Reviewed by srisriramthakurfbpage
on
June 05, 2023
Rating:
No comments: