ভগবান ছাড়া এই দেহ বিবর হইতে উদ্ধারের আর কোন পথ নাই।
বেদবানী- ২/৮৯-
ভগবান ছাড়া এই দেহ বিবর হইতে উদ্ধারের আর কোন পথ নাই। মায়ার আঁচে পরিয়া দিবারাত্র অহংকার, অভিমানে মুগ্ধ থাকিয়া কেবল অস্থায়ী সুখের জন্য পিপাসা করে। সেই পিপাসায়ই মন এবং বুদ্ধি উৎপন্ন হয়।
যখন ভগবানের সান্নিধ্য লাভ হয়
তখন মন বুদ্ধি থাকে না।
অভাবই সুখ দুঃখের পরিচয় দিয়া
অসত্যের অনুচর করিয়া দেয়।
অতএব
নাম যখন পাইয়াছেন তখন যে অবস্থাই হউক না,
এই দেহ ত্যাগের পর নিত্যধামে স্থিতি হইবেই নিশ্চয়।
ঐশ্বর্য্য নিয়া ব্রজে যাইতে পারে না,
ব্রজভূমি কেবল মাধুর্য্যময়।
সেখানে সুখ দুঃখের রীতি নাই,
মন বুদ্ধিরও গতি হয় না।
কেবল নাম নিয়া পড়িয়া থাকিবেন।
পরের সুখের জন্য লোভ করিতে নাই।
নামের সুখেরই আহ্বান
শ্রীশ্রীরামঠাকুর
বেদবাণী
(৩৩) JoyRam
সমবুদ্ধির দ্বারা দৈহিক গুণজাত প্রারব্ধ ভোগদণ্ড ক্ষয় করিতে হয়। ভোগ মোক্ষ হইলেই জীবন দশা প্রাকার মুক্ত হইয়া মানবত্ব চলিয়া যায়। ব্রজবাসী যোগে নিত্য সেবাধিকারীর শক্তির সাহায্যে নিত্যসেবার যোগ লাভ করিতে পারিবে। যখন যে অবস্থায় যে যে বিষয় আধিপত্য করিয়া মন বুদ্ধিকে চঞ্চল করে তাহা ক্রমশঃ সহিষ্ণুতা শক্তির আবরণ করিয়া অভ্যাসবশে রাখিতে চেষ্টা করিবে, বিফলতা থাকিবে না। মনের শান্তি সুখাদি যাহা যোগদান করেন সকলি অনিত্য, অস্থায়ী, ভ্রান্তিমাত্র জানিবে। সর্ব্বদা কেবল পতিগত হইয়া তাহারই উন্মুখ পৃষ্ঠভঙ্গ বর্জিত হওয়াই জীবের পরম ধৰ্ম্ম।
No comments:
Post a Comment