রামভাই স্মরণে
ডুটি আনাবার ব্যবস্থা করুন।” অশ্বিনী বাবু ঔষধের ব্যবস্থাপত্র লিখিয়া
রায় সাহেবকে দিলেন এবং ঔষধগুলি কোন সময় কোনটা ব্যবহার করিতে
হইবে বলিয়া দিলেন। অশ্বিনী বাবু সঙ্গে ঔষধ নিয়া আসিয়াছিলেন ।
খাওয়াইতে বলিলেন। দুধ, ফলের রস ও ফল খাওয়াইতে বলিলেন। অমর
বাবুকে লক্ষ্য রাখিতে বলিয়া অশ্বিনী বাবু চলিয়া যান ।
পিতাঠাকুরের মৃদু মৃদু দেহের কম্পন অবিরাম চলিতেছে । ১০টায়
ঠাকুর ভোগ দেওয়া হইল। কিন্তু সেদিন কেন জানিনা ঠাকুরকে উন্মুখ
অবস্থার মতন মনে হইতেছিল। ভোগ কিছু গ্রহণ করিতেছেন না লক্ষ্য
করিয়া বলিলাম, ভোগ গ্রহণ করছেন না কেন? আপনাকে প্রায়ই বিমনা
দেখছি। কেন কি হইছে, বলুন না?” ঠাকুর বলিলেন, “খাবার প্রবৃত্তি
নেই ।” আমি দুধের গ্লাসটি উঠাইয়া ঠাকুরের হাতে দিয়া বলিলাম, “দুধটুকু
পান করেন।” ঠাকুর অনিচ্ছাসত্ত্বেও গ্লাস নিয়া সামান্য পরিমাণ দুগ্ধ পান
করিয়া গ্লাস দিলেন । আমি মুখ কুলি করাইয়া প্রসাদ নিয়া পিতাঠাকুরকে ও
সকলকে দিলাম । পিতাঠাকুর জিজ্ঞাসা করিলেন, “ঠাকুর অন্য কোন ভোগ
গ্রহণ করেন নাই?” বলিলাম, “দুধটুকুও অনিচ্ছাতে গ্রহণ করেছেন।'
দ্বিপ্রহরে বড়দি পিতাঠাকুরকে অন্ন খাওয়াইয়া দিতে চাহিলে পিতাঠাকুর
খাইতে রাজী নহেন দেখিয়া আমরা সকলে বহু বলার পর সামান্য পরিমাণ
অন্ন গ্রহণ করিলেন । আমরা সকলে স্নানাহার অন্তে বিশ্রাম নিলাম ।
99
দিবা ৩ ঘটিকায় ঠাকুরের নিকট যাইয়া দেখি ঠাকুর একবার
এপাশ আবার ওপাশ করিতেছেন। জিজ্ঞাসা করিলাম, “ও রকম করছ
কেন? দেহে কোন অশান্তি বোধ করছো কি?” ঠাকুর বলিলেন, “দেহী
গোলযোগ করতে চাহেন বইলা দেহ অস্বস্তি বোধ করছে। দেখা যাক কি
ঘটে! এ জন্য উদ্বিগ্ন হবার কারণ নাই ।” আমি কিছু না বুঝিয়া ভোগের ঘরে
যাইয়া এক গ্লাস বেদানার রস তৈরী করিয়া ঠাকুরঘরে যাইয়া, রসের গ্লাসটি
টেবিলের উপর রাখিলাম । ঠাকুরের মুখ কুলি করাইয়া রসভর্তি গ্লাসটি হাতে
দিলে ঠাকুর বলিলেন, “এখন রস পান করব?” বলিলাম, “নিশ্চয় করবেন ।
২১
No comments: